কোনও মতে যেন যাওয়ার নামই নিচ্ছে না করোনা। ওমিক্রন হামলা আর তৃতীয় ঢেউয়ের পর ধীরে ধীরে অনেকটাই স্বাভাবিকের দিকে এগিয়েছে জনজীবন। কিন্তু আবার মাথা চারা দিয়ে উঠছগে এই মারণ ভাইরাস। চলতি সপ্তাহে ভারতের একাধিক রাজ্যে করোনা কেস বৃদ্ধির ইতিউতি খবর পাওয়া যাচ্ছিল। কিন্তু জুন মাসের প্রথম সপ্তাহান্তে আবার বেশ খানিকটাই বাড়ল ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।
ভারতে ফের ঊর্ধ্বমুখী করোনা। নতুন করে ৪০৪১ জনের করোনা সংক্রমনের খবর সামনে এসেছে। করোনা সংক্রমনের নতুন ওয়েব আসার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ১১ মার্চের পর এখন ফের এত বড় সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। নিম্নমুখী হয়েছিল করোণা সংক্রমণ।
করণা সংক্রমণ বাড়ায় চিন্তিত কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। বর্তমান পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক দেশের পাঁচ রাজ্য কে চিঠি লিখেছে। তামিলনাড়ু কেরল তেলেঙ্গানা মহারাষ্ট্র কর্ণাটক কে সাবধান করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পাঁচ রাজ্যের প্রশাসনকে পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখার আবেদন করা হয়েছে। ভারতে শনিবার ৪০৪১ টি নতুন কোভিড সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছে, যা গত ১১ ই মার্চের পর থেকে সর্বোচ্চ আক্রান্ত সংখ্যা।
ফের লাফিয়ে বাড়ছে করোনা গ্রাফ! পাঁচ রাজ্যকে চিঠি কেন্দ্রের, কী লেখা তাতে?
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুসারে, মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে ভারতে ৪৩.১৭ মিলিয়ন কোভিড সংক্রমণ রেকর্ড করা হয়েছে এবং ৫২৪,৬৫১ জন নিহত হয়েছেন। ভারতে এখন ২১ হাজার ১৭৭ জন করোনা রোগী রয়েছেন। মার্চ মাসে এই সংখ্যক করোনা রোগী ছিল। করোনার প্রথম ধাক্কায় ভারতের মহারাষ্ট্রে সবথেকে বেশি করোনা রোগীর দেখা মিলেছিল। এবারেও করোনা রোগীর সংখ্যা আবার বাড়ছে মহারাষ্ট্রে। সেইসঙ্গে বেড়েছে করোনা রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সংখ্যাও। আর সেই কারণে তৈরি হয়েছে নয়া উদ্বেগ।
ভারতের পাঁচটি রাজ্য়ের স্বাস্থ্য দফতরে ৩রা জুন করোনা বিষয়ক এক বিশেষ নির্দেশাবলী দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে। এই পাঁচটি রাজ্য হল, মহারাষ্ট্র, কেরালা, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক এবং তামিলনাড়ু। এইসব রাজ্যগুলিকে ক্রমবর্ধমান সংক্রমণ রোধ করতে পুনরায় করনাবিধি মেনে চলতে বলেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সেইসঙ্গে এই রাজ্যগুলিকে কোভিডের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে কঠোর নজরদারি বজায় রাখতে এবং প্রাক-সংক্রমণ সচেতনতামূলক পদক্ষেপও নিতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে যদি বিশ্বের করোনা চিত্রে নজর দেওয়া যায় তাহলে দেখা যাবে যে, ওমিক্রনের মতো অতি সংক্রমণযোগ্য ভ্যারিয়েন্ট এখনও চিন, নিউজিল্যান্ড এবং তাইওয়ানের মত বেশকিছু দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে নতুন তরঙ্গের সূত্রপাত করছে এবং যা এখন প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। চিনের সাংহাই এবং বেইজিং-এ করোনার চতুর্থ ঢেউ আটকানোর জন্য কঠোর নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নেওয়ান হয়েছে।
কিন্তু তা সত্ত্বেও একাধিক করোনা আক্রান্তের খবর পাওয়া যাচ্ছে সেইসব জায়গা থেকে। এরই সঙ্গে চিনের হংকং-এ করোনা নতুন করে ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাড়ছে সেখানকার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যাও। আর এই ঘটনাই নতুন করে চিন্তা বাড়াচ্ছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।