|
মমতার অভিনন্দন সকল ছাত্রছাত্রীদের
শুক্রবার মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর মুখ্যমন্ত্রী টুইটে লেখেন, মাধ্যমিক পরীক্ষায় আমাদের সফল এবং স্থানাধিকারী ছাত্রছাত্রীদের অভিনন্দন। জেলার ছাত্র-ছাত্রীরা ভালো ফল করেছে। শহরও গর্বিত করেছে আমাদের। এর পর আর একটি টুইটে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, মাধ্যমিক পরীক্ষায় সফল ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবক, শিক্ষক এবং স্কুল কর্তৃপক্ষের সবাইকে কৃতজ়্তা জানিয়েছেন।
|
অসফল পরীক্ষার্থীদের পাশে মমতা
এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উল্লেখ করেছেন মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবার ব্যর্থ হওয়া ছাত্রছাত্রীদের কথা। তিনি অসফল পরীক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়ে বলেন, আগামী বছরের জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিতে হবে। এখন থেকেই জোরদার লড়াইয়ের সঙ্কল্প নাও সবাই। হতাশ হোয়ো না লড়াই জারি রাখো। তাহলেই সাফল্য আসবে।
|
শুভেন্দু অধিকারীরও শুভেচ্ছা টুইটে
শুভেন্দু অধিকারীও টুইট করে শুভেচ্ছা জানান মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের। জীবনের লক্ষ্য অর্জনের জন্য বোর্ড পরীক্ষা চূড়ান্ত পরীক্ষা নাও হতে পারে। তবে এটি অবশ্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলস্টোন। যা বিভিন্ন পথে নিয়ে যায়। মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ সকল পরীক্ষার্থীকে অভিনন্দন জানাই। ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা রইল। তিনি তাঁর তরফে সমস্ত সফল পড়ুয়াদের অভিনন্দন জানিয়েছেন এভাবেই।
৭৮ দিন পর মাধ্যমিকের ফল
মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৭৮ দিন পর শুক্রবার মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ হল। মধ্যশিক্ষা পর্যদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় এদিন ফল প্রকাশ করেন। সাফল্যের হারে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সবার উপরে। জেলায় সাফল্যের হার ৯৭.৬৩ শতাংশ। তারপর কালিম্পং এবং তৃতীয়স্থানে রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর। কালিম্পং ৯৪.৭১ শতাংশ। পশ্চিম মেদিনীপুর ৯৪.৬২ শতাংশ। কলকাতায় পাশের হার ৯৮.৩৬ শতাংশ। পাশের হারের ভিত্তিতে এই তিন জেলা রয়েছে এক থেকে তিনে। আর মেধা তালিকার নিরীখে সবার উপরে ৬৯৩ পেয়েছেন বাঁকুড়ার রামহরিপুর রামকৃষ্ণ মিশন হাইস্কুলের অর্ণব ঘোড়াই ও পূর্ব বর্ধমান সিএমএস স্কুলের রৌণক মণ্ডল।
করোনাকালের পর পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়ে পরীক্ষা
রাজ্যের মধ্যে ছাত্রীদের মধ্যে প্রথম মালদহ আদর্শবাণী বিদ্যাপীঠের কৌশিকী সরকার। সামগ্রিকভাবে কৌশিকী দ্বিতীয় হয়েছে। তিনি পেয়েছেন ৬৯২ নম্বর। ১৬ মার্চ পরীক্ষা শেষ হয়েছিল। পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয় ৩ জুন। করোনার কারণে ২০২১-এর মাধ্যমিক পরীক্ষা হয়নি। এ বছর করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষার বন্দোবস্ত করা হয়।
ছাত্র ও ছাত্রীদের ফারাক এবার মাধ্যমিকে
পর্ষদ সভাপতি বলেন, এবারও ছাত্রের তুলনায় ছাত্রী বেশি। মোট ৬ লক্ষ ২৬ হাজার ৮০৪ জন ছাত্রী মাধ্যমিক দিয়েছিলেন। আর ৫ লক্ষ ৫৯ জন ছাত্র মাধ্যমিক দেন। মোট পরীক্ষার্থী ১১ লক্ষ ২৬ হাজার ৮৬৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে মাধ্যমিকে অ্যাপিয়ার হল ১১ লক্ষ্যে সামান্য কম ছাত্রছাত্রী। মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণে ছাত্রীরা এগিয়ে থাকলেও পাসের হারে ছাত্রীদের টেক্কা ছাত্রদের। ছাত্রদের তুলনায় ১১ শতাংশ বেশি ছাত্রী বসেন মাধ্যমিকে। যা প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার বেশি। তবে ছেলেদের পাসের হার বেশি ৮৬.৬০ শতাংশ। এবং মেয়েদের পাশের হার ৮৫ শতাংশ।