শুক্রবার প্রকাশিত হয় এ বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল। এদিন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল ঘোষণা করেন। এ বছর মাধ্যমিকে যুগ্মভাবে প্রথম হয়েছে ২ জন। বাঁকুড়ার রাম হরিপুর রামকৃষ্ণ মিশনের অর্ণব ঘড়াই ও বর্ধমান সিএমএস স্কুলের রৌনক মণ্ডল প্রথম। বাঁকুড়ার ছেলে অর্ণবের স্বপ্ন চিকিৎসক হওয়ার। প্রথম হওয়ার খবর শোনার পরই আনন্দ ও উচ্ছাস বাঁধ মানছে না তার।
ছেলে অর্ণব মাধ্যমিকে প্রথম হয়েছে, স্বাভাবিকভাবেই গর্বিত মা-বাবা।
আবেগে গলা রুদ্ধ হয়ে আসছে মাধ্যমিকে প্রথম বাঁকুড়ার অর্ণব ঘড়াইয়ের বাবার। তিনি টিভিতে তাঁর ছেলের প্রথম হওয়ার খবর পেয়ে ছেলের স্কুল রামহরিপুর রামকৃষ্ণ মিশনের দিয়ে রওনা দিয়েছেন।। তাঁর ছেলে যে মাধ্যমিকে ভালো ফল করবেন এটা তিনি জানতেন কিন্তু একেবারে প্রথম হবেন তা ভাবতে পারেননি। পেশায় শিক্ষক অর্ণবের বাবা তাঁর প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বলেন, 'আমার ছেলে পড়াশোনা করতে ভালোবাসে। অর্ণবের পড়াশোনা করার কোনও নির্দিষ্ট সময় ছিল না। যখন মনে হত পড়ত।' বড় হয়ে ছেলে চিকিৎসক হয়ে দেশের সেবা করতে চায় বলে জানান অর্ণবের বাবা।
বাঁকুড়ার রামহরিপুর রামকৃষ্ণ মিশন হাই স্কুলের অর্ণব ঘড়াই প্রথম স্থান অধিকার করেছে। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৩। অর্ণব নিজে জানিয়েছে তার খুব ভালো লাগছে। বাড়িতে এই খবর পেয়ে সকলেই খুব খুশি। অর্ণব জানায়, পরীক্ষা দেওয়ার পর এটা জানতাম যে ফল ভালো আসবে, তবে এতটা ভাবেনি। অর্ণব বলেন, 'বেশিক্ষণ পড়াশোনা না করলেও যেটুকু পরতাম ভালো করে পড়তাম।
মাধ্যমিকে প্রথম স্থান পেলেন কে, প্রথম দশের লম্বা তালিকায় মোট ১১৪ জন, একনজরে
৪ জন প্রাইভেট টিউটর ছিল। এবার নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনে ভর্তি হয়েছিলাম। প্রথমবার হস্টেলে থাকছি বেশ ভালো লাগছে, নতুন বন্ধু পেয়েও ভালো লাগছে।' পড়াশোনা ছাড়া আর কী করতে ভালোবাসে অর্ণব? রামহরিপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র বলে, 'ইংরাজি গল্পের বই পড়তে বেশ ভালোলাগে। মিশনের মহারাজ ও শিক্ষকরা খুব সাহায্য করেছেন পড়াশোনার ক্ষেত্রে। এক থেকে দশের মধ্যে থাকব ভেবেছিলাম কিন্তু প্রথম হব ভাবিনি। ভবিষ্যতে ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছা রয়েছে।'