দেশজুড়ে ঐতিহাসিক মন্দির-মসজিদ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে জোরদার। এরই মাঝে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগওয়াত বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন যে প্রত্যেক মসজিদে শিবলিঙ্গ খুঁজে প্রত্যেক দিন নতুন বিতর্ক জন্ম দেওয়ার প্রয়োজন নেই। তিনি এও জানিয়েছেন যে জ্ঞানবাপী মসজিদের সমস্যার সঙ্গে কিছু বিশ্বাস জড়িত এবং সকলকে আদালতের নির্দেশ মেনে নেওয়া উচিত।
নাগপুরে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের তৃতীয় বর্ষের অফিসার প্রশিক্ষণ শিবিরেপ শেষদিনে বক্তব্য করতে এসে মোহন ভাগওয়াতকে জিজ্ঞাসা করা হয়, 'ঝগড়া বাড়ানো কেন? প্রত্যেক মসজিদে কেন শিবলিঙ্গ খোঁজা হচ্ছে?' মোহম ভাগওয়াত ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছিলেন যে আরএসএশ এটা স্পষ্ট করে দিয়েছে যে অযোধ্যা আন্দোলন ব্যতিক্রম ছিল। তিনি বলেন, '৯ নভেম্বর, আমরা বলেছিলাম যে ঐতিহাসিক কারণের জন্য, আমরা রাম জন্মভূমি প্রচারের সঙ্গে যুক্ত হয়েছি এবং তা আমরা সম্পূর্ণ করেছি। এখন আমরা কোনও আন্দোলনের নেতৃত্ব দেব না।'
জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলা প্রসঙ্গে মোহন ভাগওয়াত বলেন, 'এখন চলছে জ্ঞানবাপী মসজিদের প্রসঙ্গ। সেখানকার একটি ইতিহাস আছে যা আমরা পরিবর্তন করতে পারি না। সেই ইতিহাস আমরা লিখিনি, না বর্তমানের হিন্দু না মুসলিম এটা লিখেছে। এটা অতীতে ঘটেছে।' তিনি এও বলেন, 'যখন ইসলাম আসে, তারা ভারতীয়দের মনোবল ভাঙতে একাধিক মন্দির ধ্বংস করেছিল।' ভাগওয়াত বলেন, 'এটাও একটা পুজো (নমাজ)।
তারা আমাদের পূর্বপুরুষদের থেকে এসেছে। আমরা কোনো ধরনের পুজোর বিপক্ষে নই।' আরএসএস প্রধান এও জানান যে যারা এই জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলার সঙ্গে যুক্ত তাঁদের উচিত একত্রে বসে পারস্পরিক সম্মতিতে একটি উপায় খুঁজে বের করা। ভাগওয়াত বলেন, 'কিন্তু প্রত্যেক সময় এটা হওয়া উচিত নয় এবং মানুষ আদালতের দ্বারস্থ হয়, আদালতের রায়কে প্রশ্নবিদ্ধ না করে মেনে নিতে হবে।'
কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়ায় আমুল বদল, নয়া পদ্ধতির কথা ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রীর
ইতিমধ্যেই জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলায় কোর্ট কমিশনার বিশাল সিং বারাণসী সিভিল জজ সিনিয়র ডিভিশনের আদালতে তিন দিনের সমীক্ষা রিপোর্ট পেশ করেছেন। ১৪ থেকে ১৬ মে পর্যন্ত এই সমীক্ষার উপর ভিত্তি করে ১২ পৃষ্ঠার রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, পাঁচজন মহিলা জ্ঞানবাপী মসজিদকে হিন্দু মন্দির দাবি করে পুজো করার অনুমতি চেযে আবেদন করেছিলেন বারাণসীর আদালতে। এরপর আদালত সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে একটি সমীক্ষার নির্দেশ দেয়। বিতর্ক সত্ত্বেও সেই সমীক্ষা সম্পন্ন হয়।