শুক্রবার প্রকাশিত হল এ বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল। এদিন সকাল ৯টা নাগাদ সাংবাদিক বৈঠক করে ফলপ্রকাশ করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এই বছর ৬৯৩ নম্বর পেয়ে প্রথম হয়েছেন ২ জন। বাঁকুড়ার রাম হরিপুর রামকৃষ্ণ মিশনের অর্ণব ঘড়াই ও বর্ধমান সিএমএস স্কুলের রৌনক মণ্ডল প্রথম স্থান অধিকার করেছেন। ফলপ্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে প্রকাশ করা হল আগামীবছর মাধ্যমিক শুরু হচ্ছে কবে থেকে। ২০২৩ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হবে ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে।
এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় মেয়েদের পাশের হার ছেলেদের পাশের তুলনায় কম। এ বছর মোট ১১ লক্ষ পড়ুয়া পরীক্ষায় বসেন। এর মধ্যে ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীদের সংখ্যা ১১ শতাংশ বেশি ছিল, যা প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার। তার মধ্যে এ বারে ছেলেদের পাশের হার ৮৬.৬০ শতাংশ। মেয়েদের পাশের হার ৮৫ শতাংশ। অন্যদিকে এ বছর পাশের হারে এগিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর। এদিন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে এ বছর মোট ১০,৯৮,৭৭৫ পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছেন। যা পর্ষদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
এর মধ্যে ৪,৮৮,৯০৭ ছাত্র পরীক্ষার্থী মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে। পাশাপাশি ৬,০৯,৮৬৮ জন ছাত্রী পরীক্ষার্থী ছিল। ছাত্রী পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছাত্রদের তুলনায় ১১ শতাংশ বেশি। ১,২০,৯৬১ জন ছাত্রদের থেকে ছাত্রীদের সংখ্যা বেশি। এই তথ্য ইঙ্গিত করে সমাজের সব স্তরে কন্যা সন্তানদের স্কুল পাঠানোর প্রবণতা বাড়েনি, তাদেরকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষা চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার আগ্রহ বেড়েছে। এই প্রসঙ্গে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, 'পরীক্ষার ফলাফলে ছাত্রীরা ছাত্রদের থেকে পিছিয়ে থাকলেও আমার দৃঢ় বিশ্বাস যেহেতু সমাজ ছাত্র-ছাত্রীদের সমান অধিকার দিচ্ছে তাই অচিরেই ছাত্রদের সাফল্যের হারকে ছাত্রীরা তুলে ধরবে।'
মাধ্যমিক পরীক্ষায় ফল প্রকাশ, সাফল্যের হারে কলকাতাতে টেক্কা জেলার, কে এগিয়ে
করোনার জেরে দুই বছর পর ২০২২ সালে অফলাইনে পরীক্ষা হয়। এবছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যার নিরিখেও মাধ্যমিক পরীক্ষা তাত্পর্যপূর্ণ। করোনার সব বিধি-নিয়ম মেনেই এ বছর মাধ্যমিক পরিক্ষা হয়। পরীক্ষাকেন্দ্রে শারীরিক দুরত্ব মেনে পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পরীক্ষার্থীদের মাস্ক পরে পরীক্ষায় বসতে হয়েছিল। পরীক্ষাকেন্দ্রে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের জন্য কেন্দ্রে ছিল আইসোলেশন রুম। প্রশ্নপত্রের প্রতিলিপি বাইরে আসা আটকাতে নেওয়া হয় বিশেষ ব্যবস্থা। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূত্রে জানা যায়, পরীক্ষা শুরুর আগে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত বিভিন্ন জেলার স্পর্শকাতর এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন।