স্পেনের বিরুদ্ধে নেশনস লিগের ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও শেষ মুহূর্তের গোলে হার বাঁচালো পর্তুগাল। ফিফা ক্রমতালিকায় সপ্তম এবং অষ্টম স্থানের এই দুই দলের ম্যাচ ঘিরে উৎসাহ এবং উদ্দীপনার অন্ত ছিল না ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে।
ম্যাচে ২৫ মিনিটে পাবলো সারাবিয়ার পাস থেকে আলভারো মোরাতার গোলে এগিয়ে যায় স্পেন। পর্তুগালের প্রথম একাদশে শুরু থেকে ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো না খেলায় বেশ চাপমুক্ত হয়েই খেলছিল স্পেন। রোনাল্ডো বিপক্ষে থাকলে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারদের মধ্যে যে ভীতিটা কাজ করে সেটা এদিন প্রথম থেকে ছিল না স্পেনের ডিফেন্সে যার ফলে বারবার ওভার ল্যাপে উঠে আসছিল দুই স্প্যানিশ ফুল ব্যাক।
পরিস্থিতি বেগতিক দেখে দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের ৬২ মিনিটে ওটাভিয়োর পরিবর্তে রোনাল্ডোকে মাঠে নামান ফের্নান্দো স্যান্টোস। রোনাল্ডো মাঠে নামতে কাজও হল মন্ত্রের মতো। গোটা ম্যাচে দাপিয়ে বেড়ানো স্পেনের ফুটবলাররা হঠাৎই যেন গুটিয়ে গেলেন। একই সঙ্গে আক্রমণের ঝাঁঝও বাড়ে পর্তুগালের। একের পর এক আক্রমণ তুলে আনার পর অবশেষে স্পেনের গোলদূর্গে পর্তুগিজ বাহিনী ফাটল ধরায় ম্যাচের ৮১ মিনিটে। জাও ক্যানসেলোর পাস থেকে রিকার্ডো হোর্তা গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান পর্তুগালের হয়ে।
এ দিন গোটা ম্যাচে ৬১ শতাংশ বলের নিয়ন্ত্রণ ছিল স্পেনের দখলে। মোট ১১টি শট নেয় স্পেন যার মধ্যে গোলে ছিল ২টি। অপর দিকে, ৭টি শট পর্তুগাল গোল লক্ষ্য করে নেয় এবং তাদেরও দু'টি ছিল টার্গেটে। এ ম্যাচে দু'টি বড় সুযোগ মিস করে স্পেন, পক্ষান্তরে এটি বড় সুযোগ নষ্ট করে পর্তুগাল।