ভিসা কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত একটি মানি লন্ডারিং মামলায় কংগ্রেস সাংসদ কার্তি চিদাম্বরমের আগাম জামিনের আর্জি খারিজ করে দিল আদালত। সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে আগাম জামিনের জন্য আবেদন করেছিলেন কার্তি চিদম্বরম। কিন্তু কোনও সুরাহা মিলল না, বরং বিপদ আরও স্পষ্ট হল আদালত জামিনের আর্জি খারিজ করায়।
গত সপ্তাহে এই মামলার শুনানি হয়। তারপর এদিন মামলার রায় দেন বিচারপতি। বিচারপতি তাঁর জামিনের আর্জি খারিজ করে দেন। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি সম্প্রতি কার্তি চিদাম্বরম এবং অন্যান্যদের বিরুদ্ধে ২০১১ সালে ২৬২ জন চিনা নাগরিককে দেওয়া ভিসা সংক্রান্ত কেলেঙ্কারিতে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে মামলা নথিভুক্ত করেছিল। এই ঘটনা ঘটেছিল যখন কংগ্রেস সাংসদ কার্তি চিদম্বরমের বাবা পি চিদাম্বরম কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন।
কেন্দ্রীয় সংস্থাটি একই মামলায় সিবিআইয়ের সাম্প্রতিক তদব্তের ভিত্তিতে অর্থ-পাচার বিরোধী আইনের অধীনে আরও একটি মামলা দায়ের করেছে। কার্তি চিদাম্বরমের আইনজীবীরা যুক্তি দিয়েছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ সর্বৈব মিথ্যা। কোনও ভিত্তি নেই এই অভিযোগের। সিনিয়র আইনজীবী কপিল সিবাল যুক্তি দিয়েছিলেন, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা ২০১১ সালের। তারা এত বছর পরে মামলাটি নথিভুক্ত করেছে।
তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলোর কাছে মামলা পড়ে রয়েছে। কিন্তু বছরের পর বছর ধরে তারা তদন্ত করেনি। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে লেনদেনের মূল্য মাত্র ৫০ লক্ষ টাকা। তাই মিঃ চিদাম্বরমকে হয়রান করার জন্যই এই মামলা করা হয়েছে। তাই তাঁর জামিন দেওয়া উচিত।
ইডি-র পক্ষে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজু সওয়াল করেন, যে জামিনের আবেদনটি সময়ের আগে। তাই এই আবেদনের কোনও ভিত্তি নেই। তিনি বলেন, "আমরা মামলাটি তদন্ত করব। তারপরও তাদের গ্রেফতারের শঙ্কা আছে, কেন এমন হল? তা জানতেই তদন্ত ও গ্রেফতারের প্রয়োজন।"
সিবিআই অভিযোগ করেছিল যে কার্তি চিদাম্বরম পাঞ্জাবে একটি বিদ্যুৎ প্রকল্প সম্পূর্ণ করতে চিনা নাগরিকদের অবৈধভাবে ভিসা দেওয়ার জন্য ৫০ লক্ষ মূল্যের কিকব্যাক পেয়েছিলেন। তিনি ২০১১ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রালয়ে তার প্রভাবের অপব্যবহার করেছিলেন এবং মন্ত্রকের দ্বারা আরোপিত ওয়ার্ক পারমিটে সিলিং-এর উদ্দেশ্যে পিছনের দরজার উপায় অবলম্বন করেছিলেন। তিনি এই ষড়যন্ত্র করেছিলেন বলে সিবিআই অভিযোগ করেছে।
এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভে ধুন্ধুমার হাজরা মোড়ে, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির পথে গ্রেফতার
কার্তি চিদাম্বরমের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ওঠার সময় তাঁর বাবা পি চিদাম্বরম সালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। তিনি সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ করেছেন। কার্তি চিদাম্বরম ছাড়াও, তার অ্যাকাউন্ট্যান্ট এস ভাস্কররামন-সহ আরও চারজনের নাম সিবিআই দ্বারা চিহ্নিত করা হয়েছে। তাঁকে ১৭ মে সিবিআই গ্রেফতার করেছিল।