কয়েকটি দেশে নতুন করে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে করোনা। যা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। তবে এই মুহূর্তে সবথেকে বেশি উত্তর কোরিয়াকে নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ। সে দেশে ভয়ঙ্কর গতিতে ছড়াচ্ছে করোনা। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ডেটা না পাওয়ার কারনে চিন্তায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। শুধু তাই নয়, কিমের দেশে ক্রমশ পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে বলেও দাবি হু'য়ের।
এমনকি ঢিলে ঢালা পরিস্থিতি আরও বিপদের মুখে উত্তর কোরিয়াকে ঠেলে দিচ্ছে বলেও দাবি।
বলে রাখা প্রয়োজন, গত ১২ মে উত্তর কোরিয়াতে প্রথম করোনা আক্রান্ত এক রোগীর খোঁজ পাওয়া যায়। গত সপ্তাহে দাবি করা হয় করোনাকে কাবু করে ফেলা হয়েছে। উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যমগুলি দাবি করে, করোনা সংক্রমণ দ্রুত কমছে। কিন্তু এহেন দাবি ঘিরেই প্রশ্ন তুলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা'র তরফে মাইকেল রায়ন বলছেন, সে দেশে পরিস্থিতি ভালো হওয়ার থেকে ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। যদিও বিশ্বের থেকে আলাদা থাকা এই দেশ কোনও তথ্যই দিচ্ছে না বলে দাবি মাইকেলের। ফলে উত্তর কোরিয়ার বর্তমান পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার অবস্থায় এই মুহূর্তে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নেই বলে জানাচ্ছে ওই স্বাস্থ্য আধিকারিক। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা'য় করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কাজ করছেন এক আধিকারিকের দাবি, উত্তর কোরিয়াতে ৩০ লাখ সন্দেহজনক করোনা আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে।
অন্যদিকে সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম সম্প্রতি জানিয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় গোটা দেশে 'জ্বরে' আক্রান্ত হয়েছেন ৯৬ হাজারেও বেশি মানুষ। এপ্রিলের শেষ থেকে এখনও পর্যন্ত ৩৮ লাখ কেস রিপোর্ট হয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে। বলে রাখা প্রয়োজন, করোনাকে কিমের দেশ সাধারণ জ্বর হিসাবেই দেখছে।
অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার একাধিক সংবাদমাধ্যমের দাবি, লাগাতার তিন দিন, সে দেশে এক লাখেরও কম রিপোর্ট করা হয়েছে। যেখানে মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে ৩.৯ লাখ পর্যন্ত সংক্রমণ হয়েছে। উত্তর কোরিয়ার সবথেকে খারাপ স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। কিন্তু এরপরেও উত্তর কোরিয়ার দাবি, ৯৫ শতাংশ মানুষ সুস্থ হয়ে উঠেছে।
তবে মাইকেন রায়ন বলছেন দ্রুত উত্তর কোরিয়াতে করোনা নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। বিভিন্ন ভাবে উত্তর কোরিয়াকে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পাঠানো হচ্ছে। ভ্যাকসিন পাঠানোর কাজও জারি রেখেছে হু, জানাচ্ছেন মাইকেল। তবে উত্তর কোরিয়া হু'য়ের পাঠানো ভ্যাকসিন নেয়নি বলেই খবর। আর এখানেই হু'য়ের আতঙ্ক, উত্তর কোরিয়াতে করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট না তৈরি হয়ে যায়।