একাধিক ধারায় মামলা
কোন্ধওয়া পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ১৫৩এ (বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা প্রচার করা), ১৫৩ বি ( জাতীয় সংহতির পক্ষে ক্ষতিকারণ অভিযোগ), ২৯৫এ ( ইচ্ছাকৃত এবং বিদ্বেষপূর্ণ কাজ যে কোনও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার উদ্দেশে), ২৯৮ ( কোনও ব্যক্তির ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা) ও ৫০৫ ধারায়
এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এব্যাপারে সর্বশেষ অভিযোগটি করেছেন কান্ধওয়ার বাসিন্দা আব্দুল গফুর আহমেদ পাঠান। পাঠান এনসিপির একজন প্রাক্তন কর্পোরেটর। তিনি অভিযোগে বলেছেন, শর্মা তাঁর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছেন।
আগে দুটি মামলা দায়ের
এর আগে মুম্বইতে মুপুর শর্মার বিরুদ্ধে একই আইনি বিধানের অধীনে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। কান্ধওয়া থানার ইনচার্জ ডানিয়েছেন এবিষয়ে আরও তদন্ত চলছে।রাজা অ্যাকাডেমির মুম্বই শাখার যুগ্ম সচিব ইরফান শেখের অভিযোগের ভিত্তিতে করা এফআইআর-এ বলা হয়েছে নুপুর শর্মা জ্ঞানব্যাপী ইস্যুতে হওয়া বিতর্কে নবী সম্পর্কে অপমানজনকমন্তব্য করেছিলেন। যদি নুপুর শর্মা বলেছেন, তিনি ভুল কিছু বলেননি। তাঁর পাল্টা অভিযোগ বরং বিতর্ক শুরু হওয়ার পর থেকে তিনি মৃত্যু এবং ধর্ষণের হুমকি পেয়ে আসছেন।
নুপুর শর্মার পরিচিতি
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক পরবর্তী সময়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনেও স্নাতক হন এবং লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্স থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ছাত্রনেত্রী হিসেবে রাজনীতিশুরু করে ২০০৮ সালে তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সভাপতি পদে জয়ী হন। সেই সময়ে কংগ্রেসের ছাত্র শাখা বিশ্ববিদ্যালয়ে শক্তিশালী ছিল। আর ২০১৫ সালে তিনি আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালের
বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। তবে ৩০ হাজারের বেশি ভোটে হেরে যান। এছাড়াও তিনি দলের যুবশাখা ভারতীয় জনতা যুব মোর্চারও পরিচিত মুখ ছিলেন। ২০১৭-তে তাঁকে দিল্লি বিজেপির মুখপত্র করা হয়।
২০২০-তে জাতীয় মুখপত্র
দিল্লি বিজেপির একজন বর্ষীয়ান নেতা সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, নুপুর শর্মার আইনি বুদ্ধিমত্তা এবং জাতীয় নানা ইস্যুতে জ্ঞান রয়েছে যথেষ্ট। দুটি ভাষা খুব ভাল জানায় তাঁকেজাতীয় ইস্যুতে টিভি বিতর্কের জন্য দলের তরফে বাছা হয়েছিল।পরে ২০২০-তে জেপি নাড্ডা সভাপতি হওয়ার পরে নুপুর শর্মাকে জাতীয় মুখ্পাত্র করেন।