করোনা মহামারী ইউপিআই সিস্টেমকে গতি দিয়েছে!
২০১৬ সালে সূচনা হওয়ার পর থেকে, সারা দেশে ক্রমশ জনপ্রিয় হয়েছে ইউপিআই৷ কোভিড মহামারী ও লকডাউনের সময় এই সিস্টেমের ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা দেখেছে দেশ। ২০২০ সালের মার্চ মাসে মহামারীর শুরুর সময় ইউপিআই সিস্টেমে লেনদেনের সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ১২৪ কোটি টাকা। মে ২০২১ এর তুলনায়, মাসিক লেনদেনের সংখ্যা ১১৭ শতাংশ বেড়েছে এবং লেনদেনের মূল্য আগের বছরের ৫ লক্ষ কোটি টাকা থেকে দ্বিগুণ হয়েছে৷ ১ জুন প্রকাশিত তথ্য দেখায় যে ২০২১-২২ আর্থিক বছরে, ইউপিআই লেনদেনের মূল্য ১ ট্রিলিয়নের মাইলস্টোনকে অতিক্রম করেছে৷
ফিচার ফোনে ও স্মার্টফোনে অফলাইন ইউপিআই-এর পরীক্ষা চলছে!
টাইগার গ্লোবাল এনপিসিআই, একটি মাতৃ সংস্থা যারা ইউপিআই, রুপে, ভারত বিল পে, ইত্যাদি পরিচালনা করে, আগামী দুই বা তিন বছরে প্রতিদিন ১ বিলিয়ন মূল্যের ইউপিআই লেনদেনের টার্গেট রাখছে সংস্থাটি। এক্ষেত্রে এনপিসিআই-এর দুটি মূল কাজ রয়েছে, ফিচার ফোনে ইউপিআই চালু করা এবং স্মার্টফোনের জন্য অফলাইন মোডে ইউপিআই চালু করা। ফিচার ফোনের জন্য ইউপিআই১২৩ পে নামের মাধ্যমটি ইতিমধ্যেই পরীক্ষার স্তরে রয়েছে৷ অন্যদিকে এনপিসিআই, অফলাইন মোডে ইউপিআই লাইট কীভাবে কাজ করবে সে বিষয়ে একটি সার্কুলার জারি করেছে।
ভারতে মোট ইউপিআই লেনদেনে কার কত শেয়ার?
ভারতে ইউপিআই লেনদেনর বাজারের সিংহভাগ অংশ উপভোগ করে তিনটি মূল সংস্থা, ফোন পে, গুগল পে, এবং পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্ক৷ ভারতে মোট মাসিক লেনদেনে ফোন পে-এর মার্কেট শেয়ার রয়েছে ৪৭ শতাংশ, যেখানে গুগল এবং পেটিএম পেমেন্ট ব্যাঙ্কের শেয়ার রয়েছে যথাক্রমে প্রায় ৩৫ এবং ১৫ শতাংশ৷ চলতি বছরের মার্চ মাসে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক দ্বারা পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্ককে নতুন গ্রাহকদের অনবোর্ডিং বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়ার পরে, ব্যাঙ্ক এখন তার অ্যাপে ইউপিআই-এর ব্যবহার বাড়ানোর লক্ষ নিয়েছে।