বিজেপিতে যোগদানের আগে টুইটে কী লিখলেন হার্দিক?
বৃহস্পতিবার বিজেপিতে যোগদানের আগে, হার্দিক প্যাটেল টুইট করেছেন। যেখানে তিনি লিখেছেন, জাতীয় স্বার্থ, রাষ্ট্রের স্বার্থ, জনস্বার্থ এবং সামাজিক স্বার্থ জীবনের একটি নতুন অধ্যায় শুরু করতে চলেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বের প্রশংসা করে হার্দিক প্যাটেল লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র ভাই মোদির সফল নেতৃত্বে জাতির মহৎ সেবায় আমি একজন ছোট সৈনিক হিসেবে কাজ করব।
কংগ্রেস নিয়ে হতাশ ছিলেন হার্দিক!
শেষ কয়েক মাস ধরে কংগ্রেসের প্রতি সরাসরি হতাশা প্রকাশ করে আসছিলেন হার্দিক প্যাটেল। এরপর ১৮ মে গুজরাতে কংগ্রেস পার্টির সিনিয়র নেতৃত্বের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক লড়াইয়ে অনাগ্রহ সহ একাধিক অভিযোগ এনে দলের রাজ্য কার্যনির্বাহী সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করেন প্যাটেল। তবে এরপরও এটা সত্য যে হার্দিকের কারণেই গুজরাতে পতিদার কোটা আন্দোলনের ( হার্দিকের নেতৃত্বে) কারণে ২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস অনেকটাই লাভবান হয়েছিল।
কংগ্রেস ছাড়ার সময় কী অভিযোগ এনেছিলেন হার্দিক!
কংগ্রেস ছাড়ার সময় হার্দিক অভিযোগ করেছিলেন, তাঁকে কার্যনির্বাহী সভাপতি করেও কোনো দায়িত্ব দেয়নি কংগ্রেস। এমনকি দলের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকেও তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হত না! গত তিন বছরে দল কখনোই হার্দিকের কোনও প্রেস কনফারেন্সের আয়োজন করেনি৷ যদিও কংগ্রেস ছাড়ার সময় হার্দিক প্যাটেল স্পষ্ট করেননি যে তিনি বিজেপিতে যোগ দেবেন কিনা৷ তবে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার রাস্তা খোলা রেখেছিলেন হার্দিক৷ কারণ তিনি রাম মন্দির, ৩৭০ ধারার বিলোপ সহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে বিজেপির খোলাখুলি প্রশংসা করছিলেন৷
পাঞ্জাবের আম আদমী সরকারকে এক হাত নিয়েছেন হার্দিক!
২৮ বছর বয়সী এই পতিদার নেতা বিজেপিতে যোগদান করার বিষয়ে নিশ্চিত ঘোষণার আগে তাঁর আম আদমি পার্টিতে যোগদান করার নিয়েও জল্পনা ছিল৷ গায়ক টার্ন রাজনীতিবিদ মুস ওয়ালার নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর, প্যাটেল পাঞ্জাবের আপ সরকারের নিন্দা করেছিলেন। তিনি বিষয়টি নিয়ে টুইটে লিখেছিলেন, 'একটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনার মধ্য দিয়ে পাঞ্জাব এখন অনুভব করছে, যে কোনও রাজ্যের ক্ষমতা ভুল হাতে চলে যাওয়া কতটা মারাত্মক! পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী এবং দিল্লির আম আদমি পার্টি যারা পাঞ্জাবে সরকার চালাচ্ছেন তাদের অবশ্যই পুরো বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে!'