ঘটনা কবে ঘটেছিল ?
গত বছরের সেপ্টেম্বরে সাকিনাকায় ৩২ বছর বয়সী এক মহিলাকে নৃশংস ধর্ষণ ও হত্যার জন্য দোষী সাব্যস্ত মোহন চৌহানের মৃত্যুদণ্ড চায় পুলিশ৷ আজ সেই ঘটনার সাজা ঘোষণার কথা ছিল। সেই সাজা ঘোষণা করেছে আদালত। দোষীর মৃত্যুদন্ড সাজা দিয়েছে আদালত।
আগেই দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল
সোমবার সব অভিযোগেই মোহন চৌহানকে দোষী সাব্যস্ত করেছিন আদালত। বাকি ছিল সাজা দেওয়া। সেই সাজা আজ ঘোষিত হল। যেখানে দোষীর ফাঁসির কথা বলেছে আদালত। চৌহান বুধবার সাক্ষী দেওয়ার বাক্সে হাজির ছিলেন। শুনানি চলাকালীন যুক্তিতর্কের সময় বেশ কয়েকবার সে মামলাকারী এবং প্রসিকিউটরকে উপহাস করার জন্য পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে আদালতের কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে বলে জানা যায়। অতিরিক্ত দায়রা জজ এইচ সি শিন্ডে তাকে তার আচরণের জন্য ভর্ৎসনা করেন এবং তাকে আদালতে শালীনতা বজায় রাখতে বলেন।
মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে যুক্তি কী ছিল ?
চৌহানের মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে, প্রসিকিউটর মহেশ মুলে যুক্তি দিয়েছিলেন যে দোষের পরিমাণ অনুসারে এমন অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়া উচিত। তিনি যুক্তি দিয়েছিলেন যে ১০৮টি দেশ যখন অপরাধ করেছে এবং তাদের বর্বরতা বেড়েছে তখনও ভারত মৃত্যুদণ্ড বাতিল করেনি। তিনি আরও বলেন, আদালতে যে ছবি ফুটে উঠেছে তা বলে দেয় যে অপরাধ কতটা মারাত্মক ছিল। তিনি বিচার চলাকালীন আসামির আচরণের প্রতিও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, এর কোনও রুচি বোধ কিচ্ছুই নেই। আদালতের মধ্যের আচারণ তা স্পষ্ট করে দিচ্ছে। তিনি বলেন, ঘটনার পর নির্যাতিতা অসহ্য যন্ত্রণার সহ্য করেছিল। সে বেঁচে ছিল বটে তবে ঘটনার জেরে সে আর কথা বলতে পারেনি।
চৌহানের আইনজীবী কী যুক্তি দিয়েছিলেন ?
চৌহানের আইনজীবী কল্পনা ওয়াস্কর শাস্তি কমানোর কথা বলেছিলেন এবং যুক্তি দিয়েছিলেন যে মামলাটিকে নির্ভয়া গণধর্ষণ মামলার সঙ্গে তুলনা করা যায় না কারণ এটি গণধর্ষণ মামলা নয় এবং বলেন যে তিনি মনে করেন না এই ঘটনা 'বিরলের থেকে বিরলতম ঘটনা'।
প্রসঙ্গত ওই মহিলার গোপনাঙ্গে ধারালো অস্ত্র ঢোকানো হয়েছিল। মারাত্মক হামলার একদিন পরেই নির্যাতিতা গুরুতর জখম হয়ে মারা যায়।