সুখের সংসার
গুজরাত টাইটান্সের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে পোস্ট করা ভিডিওয় শামি বলেন, এই মরশুমটা আমাদের সকলের জন্য ভালো গিয়েছে। প্রথম দিন থেকে আমরা পরিবার হয়ে উঠতে পেরেছি। গোটা ইউনিটকে দারুণভাবে ম্য়ানেজ করেছে টিম ম্যানেজমেন্ট। কারও উপর কোনও চাপ ছিল না। উল্লেখ্য, এবারের আইপিএলে লিগ পর্বের ১৪টির মধ্যে মাত্র চারটিতে পরাস্ত হয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থেকেই প্লে অফে পৌঁছায় গুজরাত টাইটান্স। ইডেনে প্রথম কোয়ালিফায়ারের পর আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে রেকর্ড সংখ্যক ১ লক্ষের বেশির দর্শকের সামনেও রাজস্থান রয়্যালসকে হারিয়ে আইপিএল খেতাব জেতে গুজরাত টাইটান্স।
নতুন মুখের প্রয়াস
গুজরাত টাইটান্সের সাফল্যের বড় কারণও চিহ্নিত করেছেন শামি। তিনি বলেন, প্রতি দলেই দেখা যায় হয় কোনও সিনিয়র ক্রিকেটার পারফর্ম করেন, নয়তো অন্য কয়েকজন পারফর্ম করে থাকেন। কিন্তু গুজরাত টাইটান্সের প্রতিটি ম্যাচেই দেখা গিয়েছে কোনও না কোনও নতুন ক্রিকেটার পারফর্ম করেছেন, নতুন পারফরম্যান্সের সুবাদে সুনিশ্চিত হয়েছে জয়। যা সকলে উপভোগ করেছেন। এর ইতিবাচক ফলও এখন জনসমক্ষেই রয়েছে। উল্লেখ্য, ঋদ্ধিমান সাহা এবার গুজরাত টাইটান্সের হয়ে দারুণ খেলেন। মেগা নিলাম চলাকালীন শামিই হেড কোচ আশিস নেহরাকে বলেছিলেন, ঋদ্ধিকে দলে নেওয়ার কথা।
দলগত সংহতিতেই সাফল্য
এবারের আইপিএলে গুজরাত টাইটান্সের হয়ে যাঁরা ম্যাচের সেরার পুরস্কার পেয়েছেন তাঁরা হলেন- লকি ফার্গুসন, শুভমান গিল, হার্দিক পাণ্ডিয়া, ডেভিড মিলার, রশিদ খান, রাহুল তেওয়াটিয়া ও ঋদ্ধিমান সাহা। তাঁদের মধ্যে অধিনায়ক হার্দিক ছাড়াও গিল ও মিলার দু-বার করে ম্যাচের সেরার পুরস্কার পেয়েছেন। তথাকথিত তারকাদের ছাড়াই যে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে, ড্রেসিংরুমে ভালো পরিবেশ বজায় রেখে খেতাব জেতা যে সম্ভব তা দেখিয়ে দিয়েছে গুজরাত টাইটান্স। এবারের আইপিএলে মহম্মদ শামি পাওয়ারপ্লে-তে বেশিরভাগ উইকেট নিয়েছেন। ভালো বোলিংও করেছেন প্রথম ছয় ওভারে। গুজরাত টাইটান্সের আইপিএল অভিষেকে লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে প্রথম বলেই তিনি তুলে নিয়েছিলেন লোকেশ রাহুলের উইকেট। শামি ১৬টি ম্যাচে ২০ উইকেট পেয়েছেন। তার মধ্যে পাওয়ারপ্লে-তেই পেয়েছেন ১১ উইকেট, ইকনমি ৬.৬২।
অনন্য নজির
এবারের আইপিএলে শামির সেরা বোলিং ২৫ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট। গড় ২৪.৪০, ইকনমি ৮,স্ট্রাইক রেট ১৮.৩০। সঠিক লাইন ও লেংথে বল রেখেই এই সাফল্য বলে দাবি শামির। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে তাঁকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। তবে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজের অসমাপ্ত টেস্টে তিনি খেলবেন। আইপিএলের পর এবার দেশের হয়ে নিজের সেরাটা দিতে প্রস্তুত শামি। তিনি বলেন, সকলের মতো এখন আমারও লক্ষ্য দেশের হয়ে খেলা। এটা এক দারুণ অনুভূতি। এর মধ্যেই বাংলার পেসার গড়ে ফেলেছেন আইপিএলে অনন্য রেকর্ড। ১৬টি ম্য়াচে খেললেও একটি ম্যাচেও তিনি ব্যাট করেননি। এমন নজির আর কারও নেই।