দেশে শেষবার জনগণনা হয়েছিল ২০১১ সালে। তারপর থেকে আর জনগণনা হয়নি। শোনা যাচ্ছে চলছে নতুন জনগণনার কাজ। ভারতের জনসংখ্যা এখন কোথায় গিয়ে ঠেকেছে এখন জানা নেই। ১৩০ থেকে দেড়শো কোটি হওয়াটা কোনও অস্বাভাবিক বিষয় নয়। সেটা যদি হয় তাহলে জন্ম নিয়ন্ত্রনের মতো বিষয় চলেই আসছে। এমন জন বিস্ফোরণ মোটেই একটি দেশের অর্থনীতির জন্য সঠিক নয়। এমন হলেই সেখানে গরীবের সংখ্যা বাড়বে। অর্থনীতি সেখানে ঠিক রাখা মুশকিল হয়ে দাঁড়ায়। আর ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থা এমনিতেই অবস্থা খারাপ। তার উপরে যদি আরও জনসংখ্যা বাড়তে থাকে তাহলে তা আরও বড় বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। তাই এবার জানা যাচ্ছে যে শীঘ্রই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি আইন আনা হবে।
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেছেন, শীঘ্রই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি আইন আনা হবে। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বারোন্দার আইসিএআর-ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ বায়োটিক স্ট্রেস ম্যানেজমেন্টে 'গরিব কল্যাণ সম্মেলনে' যোগ দিতে রায়পুরে গিয়েছিলেন।
জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইন সম্পর্কে সাংবাদিকদের জিজ্ঞাসা করা হলে প্যাটেল বলেছিলেন, "এই আইন শীঘ্রই আনা হবে, চিন্তা করবেন না। যখন এতগুলো শক্তিশালী এবং বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তখন বাকিগুলিও গৃহীত হবে। তিনি ছত্তিশগড়ের ক্ষমতাসীন কংগ্রেসকেও আক্রমণ করেছেন এবং দাবি করেছেন যে এটি কিছু কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অধীনে লক্ষ্য অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি বলেন, "রাজ্য সরকার জল জীবন মিশনের অধীনে মাত্র ২৩ শতাংশ কাজ করতে সক্ষম হয়েছে যখন এর অধীনে লক্ষ্য অর্জনের জাতীয় গড় ৫০ শতাংশ। রাজ্যে জলের উৎস নিয়ে কোনও সমস্যা নেই তবে সমস্যাটি ব্যবস্থাপনার। একইভাবে, রাজ্য প্রধানমন্ত্রী আবাস প্রকল্পের অধীনে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি।" ।
এর আগে, গরিবা কল্যাণ সম্মেলনের সময় বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের সাথে আলাপচারিতায়, প্যাটেল গত আট বছরে নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিভিন্ন কাজ সম্পর্কে কথা বলেন এবং বলেছিলেন 'সেবা, সুশাসন এবং দরিদ্রদের কল্যাণ' কেন্দ্রীয় সরকারের মূল মন্ত্র।
প্রসঙ্গত প্রতিবেশি দেশ অনেক আগে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। প্রথমে তাদের সরকার দুই সন্তান নীতি নেয়। ক্রমে তা কমিয়ে এনে এক সন্তান নীতি নেয়। এই করতে গিয়ে শেষে তাঁদের অর্থনৈতিক অবস্থা টলমল হতে বসেছিল, কারণ জনসংখ্যা বেশি করে নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে দেশে বেড়ে গিয়েছিল বৃদ্ধের সংখ্যা। কাজ করার জন্য তরুণ শক্তি কমে গিয়েছিল। এখন তাঁরা ফের দুই সন্তান নীতিতে ফিরে এসেছে বলে জানা গিয়েছে।