|
রামমন্দিরের গর্ভগৃহের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
এদিন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ রামমন্দিরের গর্ভগৃহের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে অযোধ্যায় গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি রামলালা সদন এবং দক্ষিণ ভারতীয় শৈলীর মন্দিরেরওউদ্বোধন করেন। শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের তরফে জানানো হয়েছে, এই বছররের ২৪ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে প্লিন্থ অর্থাৎ পেডেস্ট্রাল তৈরির কাজ। ২০২৩-এর ডিসেম্বরের মধ্যেগর্ভগৃহ অর্থাৎ যেখানে রামলালার মূর্তি থাকবে, তা তৈরি হয়ে যাবে।
|
শিলা পুজোয় যোগী আদিত্যনাথ
রামমন্দিরের গর্ভগৃহ নির্মাণের আগে সেখানে রামার্চা. দুর্গা সপ্তশতী, রুদ্রাভিষেক, রামরক্ষা স্তোত্র, বিষ্ণু সহস্যনাম, হনুমান চালিসা, সুন্দরকাণ্ডের পাঠে অংশ নেন। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের অনুষ্ঠানের সময়যোগী আদিত্যনাথ গর্ভগৃহ-র প্রথম খোদাই করা পাথর স্থাপন করেন।
|
২০২৩-এর ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষের আশা
মন্দির তৈরির দায়িত্বে রয়েছে শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। তারা জানিয়েছে, গর্ভগৃহটি ২০২৩-এর ডিসেম্বরের আগেই শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করছেন তারা। উল্লেখ্য যে প্রধানমন্ত্রীনরেন্দ্র মোদী ২০২০-র ৫ অগাস্ট রামমন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। সেই থেকে দ্রুতগতিতে কাজ এগিয়ে চলেছে।
২০১৯-এর ৯ নভেম্বর তৎকালীন দেশের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের ৫ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ ভেঙে দেওয়া বাবরি মসজিদের জমি রাম লালার বলে রায় দিয়েছিলেন।এই মুহূর্তে রামমন্দির তৈরির কাজ পুরোদমে চলছে বলে জানিয়েছে শ্রীরাম মন্দির তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট।
অযোধ্যা রামমন্দির নির্মাণ চকমিটির চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্ল সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, এদিন থেকেই সেখানকার সুপার স্ট্রাকচারের কাজ শুরু হয়েছে। কাজ শেষের জন্য তিন পর্যায়ের সময়সীমা রয়েছেবলে জানিয়েছেন তিনি। ২০২৩-এর মধ্যে গর্ভগৃহ, ২০২৪-এর মধ্যে মন্দির তৈরি এবং ২০২৫ সালের মধ্যে মন্দির কমপ্লেক্স তৈরির লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে।
বিভিন্ন জায়গা থেকে আনা হয়েছে গ্রানাইট ও মার্বেল
কর্নাটক এবং তেলেঙ্গানা থেকে আনা গ্রানাইট পাথরের ব্লক ব্যবহার করে স্তম্ভ তৈরি তরা হয়েছে। প্রায় ১৭০০০ গ্রানাইট পাথরের ব্লক প্লিন্থ তৈরির কাজে ব্যবহার করা হবে। এছাড়া গর্ভগৃহের চারপাশে খোদাই করা বেলেপাথর স্থাপনের কাজও খুব তাড়াতাড়িশুরু হবে বলেও জানানো হয়েছে শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের তরফে। রাজস্থানের ভরতপুরের বংশী-পাহাড়পুর অঞ্চলের গোলাপী বেলেপাথর দিয়ে তৈরি করা হবে।রাজস্থানের মাকরানার সাদা মার্বেল মন্দির তৈরির জন্য ব্যবহার করা হবে। সাদা খোদাই করা মার্বেল ইতিমধ্যেই অযোধ্যায় আসতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ।