অবসরের ভাবনা
অস্ট্রেলিয়ায় ভারতের হয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম চারটি ম্যাচে বীরেন্দ্র শেহওয়াগ ৬.৩৩, ১১ ও ১৪ রান করেছিলেন। এরপর তাঁকে বাদ দেওয়া হয়। এই সিবি সিরিজের বেস্ট অব থ্রি ফাইনালে ভারত অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছিল। যদিও সেই ম্যাচগুলি ড্রেসিংরুমে বসেই দেখতে হয়েছিল শেহওয়াগকে। তিনি জানিয়েছেন, এই সময়েই অবসরের সিদ্ধান্ত মাথায় এসেছিল।
২০০৮ সালের ঘটনা
উল্লেখ্য, ১৯৯৭-৯৮ মরশুমে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে পদার্পণের হয়ে ভারতের হয়ে শেহওয়াগের একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক হয় ১৯৯৯ সালে। ২০০১ সালে টেস্ট অভিষেক। টি ২০ আন্তর্জাতিক অভিষেক ২০০৬ সালে। ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে শেষ একদিনের আন্তর্জাতিক ও মার্চে শেষ টেস্ট খেলেন। শেষ টি ২০ আন্তর্জাতিকটি খেলেন ২০১২ সালের অক্টোবরে। ২০১৫ সালে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে শেষ ম্যাচ খেলেবন, ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে ঘরোয়া ক্রিকেটে শেষ টি ২০ খেলেন। শেহওয়াগ বলেন, টেস্ট সিরিজে কামব্যাক করেছিলাম, ১৫০ রানের ইনিংসও খেলি। কিন্তু তিন-চারটি ম্যাচে প্রয়াস চালিয়েও একদিনের আন্তর্জাতিকে রান পাচ্ছিলাম না। এই সময় ধোনি আমাকে একদিনের দল থেকে বাদ দিতেই অবসরের চিন্তাভাবনা শুরু করি। সেই সময় ভেবেছিলাম শুধু টেস্ট ক্রিকেটই খেলব।
নিরস্ত করেন সচিন
শেহওয়াগ এই ঘটনার কথা বলতে গিয়ে জানিয়েছেন, সেই সময় তাঁকে নিরস্ত করেছিলেন সচিন তেন্ডুলকর। বীরু বলেন, সেই সময় সচিন তেন্ডুলকর আমাকে নিষেধ করেন অবসর নিতে। সচিন বলেছিলেন, "কেরিয়ারের খারাপ সময় চলছে। অপেক্ষা করো। এই সিরিজের পর দেশে ফিরে গিয়ে আরও ভালো করে ভাবো। তারপর ঠিক করো কী করা উচিত।" সেই সময় হঠকারীভাবে অবসর ঘোষণা না করে তিনি যে ঠিকই করেছিলেন, পরে তা ভালো করে উপলব্ধি করে নিজেকে ভাগ্যবান হিসেবে চিহ্নিত করেছেন বীরু। উল্লেখ্য, সেই সময় অবসর নিলে ২০১১ সালের বিশ্বকাপেও খেলা হতো না। শেহওয়াগের।
সমালোচনায় নির্বিকার
বীরেন্দ্র শেহওয়াগ বলেন, দু ধরনের ক্রিকেটার রয়েছে। কিছু ক্রিকেটার রয়েছেন যাঁরা চ্যালেঞ্জ নিতে ভালোবাসেন, তাঁরা চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি উপভোগ করেন। বিরাট কোহলি তাঁদের অন্যতম। বিরাট সমস্ত সমালোচনা শোনার পর মাঠে গিয়ে রান করে সমালোচকদের ভুল প্রমাণ করে থাকেন। আবার এমন ক্রিকেটার রয়েছেন যাঁরা যাঁরা সমালোচনাকে পাত্তা দেন না। তাঁরা নিজেরাই বোঝেন মাঠে নেমে কী করণীয়। শেহওয়াগ নিজেকে এই দ্বিতীয় ধরনের ক্রিকেটারদের তালিকায় রেখে বলেন, কে আমার সমালোচনা করল তা নিয়ে বিন্দুমাত্র ভাবি না। আমার লক্ষ্য ছিল খেলা, রান করা এবং তারপর বাড়ি ফিরে যাওয়া।