ভার্সনি কলেজের ঘটনা
ভার্সনি কলেজের লনে নমাজ পড়েছিলেন অধ্যাপক এসআর খালিদ। মঙ্গলবার তাঁকেই একমাসের বাধ্যতামূলক ছুটিতে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কলেজের এক ছাত্র নেতা সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, কলেজ ক্যাম্পাসের ভিতরে নমাজ পড়ে ওই অধ্যাপক শান্তির পরিবেশ নষ্টের চেষ্টা করেছেন।
অধ্যাপকের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ
কলেজের এক মুখপাত্র সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার কিছু নেতা-কর্মী অধ্যাপক এসআর খালিদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ এনেছিলেন। সেখানে তারা সর্বজনীন জায়গায় প্রার্থনা করে শান্তি নষ্ট করার চেষ্টার অভিযোগও করেছিলেন। যার নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন, কলেজের ওই মুখপাত্র। কলেজের অধ্যক্ষ অরুণকুমার গুপ্ত পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। যার রিপোর্ট শীঘ্রই পেশ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পরে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কলেজ কর্তৃপক্ষের ওপরে চাপ
জানা গিয়েছে, ডানপন্থী ছাত্র সংগঠনের তরফে হুমকি দিয়ে বলা হয়েছি, কলেজ কর্তৃপক্ষ আইনানুগ ব্যবস্থা না নিলে পাল্টা হনুমান চালিসা পাঠ করা হবে। বিজেপির যুব শাখার তরফে বলা হয়েছে এটা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, উত্তর প্রদেশের বিজেপি সরকারকে বদনাম করার জন্য সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ এটি।
থানায় অভিযোগ দায়ের
এব্যাপারে গান্ধী পার্ক ও কুয়ার্সি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, কলেজ কর্তৃপক্ষের বিবৃতি পাওয়ার পরে এব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রসঙ্গত দিন দুয়েক আগেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উত্তর প্রদেশের রাস্তা নমাজ পড়া বন্ধ হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছিলেন। লখনৌতে বিজেপির কার্য নির্বাহী সভায় তিনি রাজ্যে কোনও দাঙ্গা না হওয়ার কারণেও স্বস্তি প্রকাশ করেন।
পাশাপাশি ধর্মীয় উপাসনালয় থেকে লাউডস্পিকার সরানোর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেছিলেন, অপ্রয়োজনীয় কোলাহল থেকে রেহাই পাওয়া গিয়েছে। সেখানেই তিনি বলেছিলেন অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মান শুরুর পর থেকে কাশীও
জেগে উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে দলের সবাইকে আরও এগিয়ে যাওয়ার ডাকও দেন তিনি।