|
শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছিলেন, মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী ছাড়াও পরেশ অধিকারী পরিবার-পরিজন মিলিয়ে ৩২ জনকে সরকারি চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন। সেই সংক্রান্ত বেশ কিছু নামও টুইটারে পোস্টকরেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই তালিকায় মন্ত্রীর স্ত্রী ছাড়াও ছিলেন মেয়ে, ছেলে, ভাই, ভাইপো, শ্যালক, শ্যালিকা, একের পর এক আত্মীয় এবং গাড়ির চালকও। নামের পাশে কে কোনও দফতরের চাকরি করেন তাও লিখেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
অভিযোগ মিথ্যা, দাবি পরেশের
তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে পরেশ অধিকারী এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, সব মিথ্যা। অভিযোগকে বিরোধী চক্রান্ত বলে দাবি করেছেন তিনি। মন্ত্রীর দাবি সবই বিরোধীদের অভিযোগ। তবে তিনি বলেন বিরোধীরা অভিযোগ আনতেই পারে। তাঁর দাবি, এব্যাপারে খবরে যেসব দেওয়া হচ্ছে, সবই মিথ্যা।
স্ত্রীর চাকরি নিয়ে পরেশ
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যের মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর বিরুদ্ধে সরকারি চাকরিতে পরিবারের তোষণের অভিযোগ করেছিলেন। শুভেন্দু অধিকারীর করা টুইটে সব থেকে ওপরে যাঁর নাম ছিল তিনি মন্ত্রীর স্ত্রী মীরা অধিকারী (খাদ্য দফতর)। এব্যাপারে পরেশ অধিকারীর দাবি, স্ত্রী চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের বিয়ের আগেই। আর তিনিও এখন অবসর নেওয়ার পথে বলেই জানিয়েছেন মন্ত্রী পরেশ অধিকারী। অভিযোগ নিয়ে আইনি পদক্ষেপ নেবেন কিনা, সেই প্রশ্নের উত্তরে পরেশ অধিকারী বলেছেন, যেসব বিষয় বিচারাধীন তা নিয়ে নতুন করে কিছু তিনি বলতে পারবেন না। প্রসঙ্গত উল্লেখে বিচারাধীন বিষয় বলতে তাঁর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর স্কুলের চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়ায়। ২০১৮-তে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কিছুদিনের মধ্যে চাকরি পান পরেনশ কন্যা। যা নিয়ে হাইকোর্টে অভিযোগ দায়ের করেন শিলিগুড়ি বাসিন্দা ববিতা সরকার। প্রথম তালিকায় নাম না থাকা সত্ত্বেও কীভাবে চাকরি তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
অভিষেক-মমতার সঙ্গে কথা হয়নি
এদিন পরেশ অধিকারী দাবি করেছেন, এসএসসিতে অনিয়ম করে মেয়ের নিয়োগ এবং তারপরে বরখাস্ত হওয়ার বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিংবা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর কোনও কথা হয়নি। সিবিআই তাঁকে কী কী বিষয়ে প্রশ্ন করেছিল, তা নিয়েও মুখ খোলেননি পরেশ অধিকারী। সিবিআই-এর ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের কথা তিনি অস্বীকার করেছেন।