দ্বিপাক্ষিক টি ২০ সিরিজ তোলার দাবি
চলতি মাসেই স্পষ্ট হয়ে যাবে আইপিএলের মিডিয়া ও সম্প্রচার স্বত্ত্ব কাদের হাতে যাবে। এই আবহে রবি শাস্ত্রী ইএসপিএনক্রিকইনফোকে বলেছেন, দ্বিপাক্ষিক টি ২০ সিরিজ বন্ধ করে দিয়ে আন্তর্জাতিক টি ২০ সীমাবদ্ধ রাখা হোক শুধু বিশ্বকাপেই। আমি ভারতীয় দলের কোচ থাকাকালীনও এ কথা বলেছি। আমার দৃঢ় ধারণা, ভবিষ্যতে তেমনটাই হবে। বিষয়টি ফুটবলের মতো। টি ২০ ক্রিকেটের বিশ্বকাপ হোক। কেন না, দ্বিপাক্ষিক টি ২০ সিরিজের ফলাফল কেউ মনে রাখেন না।
আইপিএলের ব্যাপ্তি বাড়ানোর সওয়াল
শাস্ত্রী আরও বলেন, ভারতীয় দলের কোচ থাকার সময় একমাত্র বিশ্বকাপ ছাড়া টি ২০-র কোনও ম্যাচের ফলাফল আমার মনে নেই। বিশ্বকাপ জিতলে সেটা সংশ্লিষ্ট দেশ-সহ সকলে মনে রাখে। আমার প্রশিক্ষণে ভারত বিশ্বকাপ জিততে পারেনি, তাই টি ২০ আমার মাথায় নেই। তার চেয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ক্রিকেটাররা ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলুন। প্রত্যেক দেশেই ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট চালু থাকা উচিত। এটা তাদের ঘরোয়া ক্রিকেটের অংশ হোক। দুই বছর অন্তর টি ২০ বিশ্বকাপ চলুক।
বছরে দুটি উইন্ডো?
এবারের আইপিএল ৬৫ দিন ধরে চলেছে। ৭৪টি ম্যাচ হয়েছে। আইপিএলে দলের সংখ্যা বাড়ায় এমন জল্পনা শুরু হয়েছে, আইপিএলের জন্য বছরে দুটি উইন্ডো বের করা যায় কিনা কিংবা ছয় মাস ধরে বিশ্বের নানা প্রান্তের লিগের মতো আইপিএলও হতে পারে কিনা। আইপিএল চলাকালীন কিছু আন্তর্জাতিক ম্যাচও পড়ে যায়। এমনকী আইপিএল উইন্ডোর কথা মাথায় রেখে আইসিসি ও বিভিন্ন দেশের বোর্ডকে সিরিজ আয়োজন করতে হয়। অনেক সময় দেখা যায়, ক্রিকেটাররা দেশের থেকেও প্রাধান্য দেন আইপিএলকেই। প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার আকাশ চোপ়ড়া বলেছেন, এমন দিন খুব বেশি দূরে নেই যখন আইপিএলের জন্য বছরে দুটো উইন্ডো থাকবে। রবি শাস্ত্রীও মনে করেন, এটাই ভবিষ্যৎ। আইপিএলে ১৪০টি ম্যাচ হবে, দুটি উইন্ডোয় ৭০টি করে ম্যাচ থাকবে।
বিসিসিআই মহা-শক্তিধর
শাস্ত্রী সাফ বলেন, মনে হতে পারে এটা অত্যধিক বেশি। কিন্তু ভারতে কিছুই ওভারডোজ নয়। ড্যানিয়েল ভেত্তোরি, ইয়ান বিশপরাও এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি। বিশপের কথায়, বেসবলে এমন হয়। এনবিএ বাস্কেটবেল প্রতিটি দল ৭০-এর কাছাকাছি ম্যাচ খেলে। সপ্তাহে ছুটি তো থাকে, সেই সঙ্গে অল স্টার ব্রেকের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে খেলা চলতে থাকে নির্বিঘ্নেই। অনেক ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফ আইপিএলের পাশাপাশি অনেক লিগের সঙ্গে যুক্ত। আইপিএলের ব্য়াপ্তি বাড়াতে তাঁদের সঙ্গে আর্থির চুক্তির পরিমাণ বাড়ানোর ক্ষমতা বিসিলিআইয়ের রয়েছে বলেই ধারণা ভেত্তোরির। সবমিলিয়ে আইপিএলের নতুন চেহারা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।