Popular Front of India-এর বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। এমনকি তাঁদের শাখা সংগঠন Rehab India Foundation-এর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা। জানা যাচ্ছে, দুটি সংগঠনের মোট ৩৩ টি অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে ২৩ টি অ্যাকাউন্ট রয়েছে Popular Front of India এবং ১০টি অ্যাকাউন্ট Rehab India Foundation-এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে বলে খবর।
এই দুটি অ্যাকাউন্ট মিলিয়ে প্রায় ৭০ লাখ টাকা আছে বলে ইডি সূত্রে খবর।
বিপুল পরিমাণ এই টাকা মানি লন্ডারিং আইন ২০০২ অনুযায়ী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তবে আর্থিক লেনদেন একেবারে গভীরে গিয়ে তদন্ত করছেন ইডির আধিকারিকরা। আর তা করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের দাবি, আরও নগদ টাকা রয়েছে এই দুই সংস্থার। যে গুলি লুকিয়ে রাখা আছে বলেই দাবি তদন্তকারীদের।
শুধু তাই নয়, বিদেশে অসৎ উপায়ে অর্জিত এই টাকা দান করা হবে এই ভিত্তিতে ভারতে নিয়ে আসা হত এবং তা বিভিন্ন কাজে এই দুই সংগঠন লাগাত বলেও মনে করছেন তদন্তকারীরা। বর্তমানে এই মামলায় লখনউতে স্পেশাল আদালতে চলছে বলে জানা যাচ্ছে।
এক নজরে পুরো ঘটনা-
এই বিষয়ে গত কয়েকদিন ধরেই তদন্ত চালাচ্ছিলেন কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা। তদন্তে জানা যাচ্ছেম পিএফআইয়ের অ্যাকাউন্টে ২০০৯ সালে ৬০ কোটি টাকা জমা করা হয়েছিল। যার মধ্যে ৩০ কোটি টাকা শুধু নগদ হিসাবে জমা পড়েছে বলে দাবি। অন্যদিকে ২০১০ সালে রিহ্যাব ফাউডেশনের অ্যাকাউন্টে ৫৮ কোট টাকারও বেশি জমা পড়ে।
আরব দুনিয়া থেকে টাকা পয়সা ভারতে আসছে বলে দাবি তদন্তকারীদের। পুরোটাই অবৈধ টাকা বলে দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকদের। আর তা ধীরে ধীরে পিএফআই, রিহ্যাব ফাউডেশন সহ এর সঙ্গে জড়িত বক্তিদের অ্যাকাউন্টে জমা হত বলেও দাবি ইডির আধিকারিকদের। আর এই বিষয়ে একাধিক অভিযোগ সামনে আসছিল। আর এরপরেই তদন্ত শুরু করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আর সেই তদন্তে একের পর এক তথ্য সামনে আসছে।
অন্যদিকে তদন্তকারীরা বলছেন, একেবারে অবৈধ ভাবে পাওয়া এই টাকা সদস্য এবং অন্যান্য ব্যাক্তিদের অ্যাকাউন্টে ছড়িয়ে দেওয়া হতো। টাকা'র মূল স্রোত কিংবা উৎস লুকাতে বিভিন্ন কারসাজি করা হত বলেও দাবি তদন্তকারীদের। এমনকি ঠিক কত টাকা আসছে সেটি জানতে কেউ জানতে না পারে সে জন্য সংগঠনের সদস্যরা বিভিন্ন জনের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা হত বলেও দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। পরে সেগুলিকে দান দেওয়া হয়েছে বলে দেখানো হত বলে দাবি তদন্তকারীদের।
বলে রাখা প্রয়োজন, Popular Front of India এর বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি অভিযোগ। এমনকি পাকিস্তানের সঙ্গে যোগসাজসের অভিযোগ রয়েছে।