পেরিয়ে আসা পর্যায়
আজ মুম্বইয়ে বান্দোঁ মে থা দম নামে একটি ওয়েব সিরিজের প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। অস্ট্রেলিয়ায় ভারতের ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জয় অবলম্বনে এই ওয়েব সিরিজ লঞ্চে ছিলেন অজিঙ্ক রাহানে, চেতেশ্বর পূজারা, মহম্মদ সিরাজ, হনুমা বিহারীও। পূজারার ভারতীয় টেস্ট দলে কামব্যাক হলেও চোটের কারণে রাহানে কতদিন মাঠের বাইরে থাকবেন তা স্পষ্ট নয়। বাকিরা রয়েছেন ইংল্যান্ড সফরের দলে। অশ্বিন এদিন বলেন, আমি নিজের পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ এখন আর করি না। আমি সেই পর্যায় কাটিয়ে এসেছি যখন কোথায় কেমন পারফর্ম করলাম তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করতে হতো। শেষ দুই বছর মানুষ অনেক কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু এই সময়টা আমার খুব উপকারেই লেগেছে। ক্রিকেটকে উপভোগ করছি। আমি জানি না, মাঠে আমাকে দেখে এটা বোঝা যায় কিনা। কিন্তু মানসিকভাবে এখন খুব ভালো জায়গাতেই আছি।
ছুটি উপভোগ
টানা পাঁচ মাস ক্রিকেট খেলার পর আগামী কয়েকটি দিন অশ্বিন পরিবারের সঙ্গে কাটিয়ে আরও ফ্রেশ হতে চান। অশ্বিন বলেন, ভারতের সামনে ঠাসা ক্রীড়াসূচি রয়েছে। তবে এখন তা মাথায় রাখছি না। জৈব সুরক্ষা বলয় ছেড়ে মাস পাঁচেক পর বাড়ি ফিরেছি। আপাতত পজ বোতামটি টিপে কয়েকটি দিন উপভোগ করতে চাই। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ থেকেই জৈব সুরক্ষা বলয় উঠে যাচ্ছে। অশ্বিন সেই পদক্ষপকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, অতিমারী কাটিয়ে সব কিছু স্বাভাবিক হলে তা যে সকলের পক্ষেই ভালো সে কথাই উঠে এসেছে অশ্বিনের বক্তব্যে। ভারতের সাদা বলের দলে কামব্যাক করার পর এবারের আইপিএলে অশ্বিন ১৭ ম্যাচে ১টি অর্ধশতরান-সহ ১৯১ রান করেছেন, পেয়েছেন ১২ উইকেট।
সিডনির স্মৃতি
সিডনি টেস্টের চতুর্থ দিনে ব্যাক স্প্যাজম ভোগাচ্ছিল অশ্বিনকে। তারপরও হনুমা বিহারীর সঙ্গে লড়াকু পার্টনারশিপ গড়ে ভারতকে টেস্ট ড্র রাখতে সহায়তা করেছিলেন অশ্বিন। ওই সিরিজে ব্যাট-বল হাতে অবদান রাখলেও চোটের কারণে শেষ টেস্টে খেলতে পারেননি। ডাউন্ড আন্ডারে ঐতিহাসিক সিরিজ নিয়ে অশ্বিন বলেন, ২০১৮ সালে সাউদাম্পটন টেস্টে চোট লাগলেও খেলা চালিয়ে গিয়েছিলাম। তবে সেই ম্যাচের ফল ভারতের পক্ষে যায়নি। সিডনি টেস্টে যখন ব্যাক স্প্যাজমের সমস্যা দেখা দিল ভাবতে পারিনি খেলা চালিয়ে যেতে পারব কিনা। প্রার্থনা করেছিলাম যাতে চোট বাধা না হয়ে দাঁড়ায়। পরের দিন সকালে ব্যথাটা কিছুটা কম অনুভব করলাম। পেইনকিলারে কাজ দিয়েছিল।
কঠিন লড়াই
অশ্বিন আরও জানান, চতুর্থ দিনে টানা বল করেছিলাম। টানা স্পেল করে কয়েকটি উইকেটও তুলে নিই। কিন্তু সেই কাজটা সহজ ছিল না। সাউদাম্পটন টেস্টের চেয়েও কঠিন পরিস্থিতিতে ছিলা। কিন্তু ভাগ্যের সহায়তা পেয়েছি। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজটি এমন সিরিজ ছিল যেখানে প্রত্যেককেই নিজেদের সেরাটা দিতে প্রচুর প্রয়াস চালাতে হয় এবং প্রত্যেকের ভাগ্যের ১ শতাংশও ফারাক গড়ে দেয়। নিঃসন্দেহে ওটা আমার জীবনের অন্যতম সেরা সিরিজ ছিল। এখনও যখন ওই সিরিজের কথা ওঠে তখন ভালো স্মৃতিগুলি মনে পড়ে, মনে পড়ে কঠিন সময়গুলি, জয়ের পর বাঁধনহারা উচ্ছ্বাসের স্মৃতি, যা এখনও স্বমহিমায় বিরাজমান।