উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে দারুণ ভাবে হয় লাভ করে ফের ক্ষমতায় এসেছেন যোগী আদিত্যনাথ। এবার রাজ্যসভা নির্বাচনের পালা, যা হবে আগামী মাসেই। তার জন্য কোমর বাঁধছে বিজেপি। আট প্রার্থী রাজ্যসভায় সদস্য হবার জন্য মনোনয়ন জমা দিলেন।
মঙ্গলবার উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং দলের অভিজ্ঞ নেতাদের উপস্থিতিতে রাজ্যসভা নির্বাচনের জন্য আটজন বিজেপি প্রার্থী তাদের মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। যারা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তারা হলেন বিজেপির ওবিসি মোর্চার জাতীয় সভাপতি কে লক্ষ্মণ, প্রাক্তন বিজেপি রাজ্য প্রধান লক্ষ্মীকান্ত বাজপেয়ী, মিথিলেশ কুমার, রাধা মোহন দাস আগরওয়াল, সুরেন্দ্র সিং নগর, বাবুরাম নিষাদ, দর্শনা সিং এবং সঙ্গীতা যাদব।
আদিত্যনাথ ছাড়াও, উপমুখ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠক এবং কেশব প্রসাদ মৌর্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দলের সিনিয়র নেতাদের মধ্যে। ৩১ মে উত্তরপ্রদেশ থেকে ১১ টি রাজ্যসভা আসনের জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ।
এদিকে এই রাজ্যসভার মনোনয়ন নিয়ে মহা সমস্যায় কংগ্রেস। টিকিট না পেয়া নেতারা দলের উপর ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন। বেশিরভাগই টুইট করে তাঁদের ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। বেশি ক্ষোভ দেখা গিয়েছে রাজস্থানে যেখানে তাদের সরকার রয়েছে।
যেমন কংগ্রেসের জাতীয় মুখপাত্র পবন খেরা খুব আশা করেছিলেন রাজ্যসভায় তিনি দলের টিকিট পাবেন কিন্তু তা হয়নি। আর তা না হতেই তিনি দলের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। পবন খেরা রাজস্থান থেকে কংগ্রেস দলের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। টিকিট না পেয়ে মহা হতাশ পবন খেরা। তিনি টুইট করে লিখেছেন, "শায়াদ মেরি তপস্যা মে কুছ কামি রেহ গই" অর্থাৎ আমার তপস্যায় হয়তো কোনও খামতি ছিল। তাই দলের টিকিট পাননি বলে ঘুরিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন।"
পবন খেরা তার হতাশার রাখ ঢাক না করেই টুইট করেন। আর তাঁর টুইটের জন্য অন্যান্য অনেক কংগ্রেস কর্মী এবং সমর্থক তাঁকে সোশ্যাল মিডিয়াতে তাঁকে সমর্থন করেছেন। সঙ্গে সঙ্গে দলের মুখপাত্র একটি ব্যাখ্যা দিয়ে ড্যামেজ কন্ট্রোল করার চেষ্টা করেছেন বলেছেন, "কংগ্রেস আমাকে আমার পরিচয় দিয়েছে।"
পবন খেরাকে প্রার্থী করার পরিবর্তে, দল রাজস্থান থেকে রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা, মুকুল ওয়াসনিক এবং প্রমোদ তিওয়ারিকে প্রার্থী করেছে। তাদের কেউই রাজস্থানের নয়। " কংগ্রেসের সিরোহির বিধায়ক সন্যাম লোধা টুইট করেছেন, পার্টির বলা উচিত যে, রাজস্থান থেকে কোনও কংগ্রেস নেতা/কর্মীকে রাজ্যসভা নির্বাচনে প্রার্থী না করার কারণ কী?"
পবন খেরার মতোই একই প্রতিক্রিয়া অভিনেত্রী নাগমার যিনি থেকে বহু দিন ধরে কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত। তিনিও আশা করেছিলেন এবার তাঁকে দল টিকিট দেবে , কিন্তু তা হয়নি। এতেই ক্ষুব্ধ নাগমা। কংগ্রেস নেত্রী নাগমা লিখেছেন তিনিও 'ইমরান প্রতাপগড়ী মহারাষ্ট্র থেকে প্রার্থী হওয়ার বেশ হতাশ। নাগমা যোগ করেছেন সোনিয়া গান্ধী ব্যক্তিগতভাবে ২০০৩-০৪ সালে রাজ্যসভায় তাঁকে স্থান দেওয়ার জন্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তারপর থেকে ১৮ বছর হয়ে গিয়েছে তিনি কোনও সুযোগ পাননি। ইমরান প্রতাপগড়ীকে মহারাষ্ট্র থেকে রাজ্যসভায় টিকিট দেওত্যা হয়েছে। এতেই ক্ষুব্ধ নাগমা লিখিছেন , "আমি কি প্রার্থী হওয়ার যোগ্য, ছিলাম না"।