আদালতের নির্দেশ
এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, একজন নারীকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া, আদালত অনুমোদন করেন না। কিছু বৈবাহিক বিবাদের কারণে কোনও মহিলাকে শ্বশুর বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার মনোভাবে
পরিবার ভাঙছে বলে মনে করে আদালত। যকি কোনও মহিলাকে শ্বশুর বাড়িতে দুর্বব্যবহারের জন্য অভিযুক্ত করা হয়, তাহলে বাড়িতে বড়দের এবং অন্য সদস্যদের হয়রানি না করতে আদালত তাঁকে (শ্বশুর বাড়িতে বধূ)শর্ত দিতে পারে, বলেছেন বিচারপতি নাগারথনা।
বম্বে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রায়
সোমবার সুপ্রিম কোর্টের এই পর্যবেক্ষণ বম্বে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে এক মহিলার দায়ের করা আবেদনের প্রেক্ষিতে। মামলায় বম্বে হাইকোর্টের পরে ট্রাইবুনালও ওই মহিলাকে শ্বশুর বাড়ির ফ্ল্যাট খালি করা নির্দেশ দিয়েছিল। পাশাপাশি ওই মহিলা ও তাঁর স্বামীকে বয়স্ক দম্পতির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ২৫ হাজার টাকা করে মাসিক ভাতা দিতে নির্দেশ দিয়েছিল।
সুপ্রিম কোর্টে আবেদন মহিলার
এর পরে ওই মহিলা ট্রাইবুনালের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স অ্যাক্টের অধীনে নারী সুরক্ষার উল্লেখ করে রিট পিটিশন রাখিল করেন।
অন্যদিকে হাইকোর্টের তরফে বৃদ্ধ দম্পতির ছেলেকে তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তানের বিকল্প আবাসনের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিলেও ভরণপোষণের দায় মকুব করে দেন। হাইকোর্টের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে ওই মহিলা সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নাগারথনা রায় দিতে গিয়ে তাঁর ১২ মে অপর একটি মামলায় রায়ের কথা উল্লেখ করেছেন।
মহিলাদের বাড়িতে বসবাসের অধিকার
১২ মে গার্হস্থ হিংসা সংক্রান্ত একটি মামলায় রায় দিয়ে গিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, মহিলা, যে কোনও ধর্মের হতে পারেন। তিনি মা, কন্যা, বোন, স্ত্রী, শাশুড়ি যেই হোন না কেন। সুপ্রিম কোর্টের তরফে সাধারণ বাড়িতে বসবাসের অধিকার সম্পর্কে ব্যাখ্যা করে বলেছে, বিষয়টি বৈবাহিক বাসস্থানের মধ্যে সীমাবদ্ধ করা যাবে না। সম্পত্তির ওপরে অধিকার নির্বিশেষে তা অন্য বাড়িতে প্রসারিত করা যেতে পারে। উত্তরাখণ্ডের এক বিধবার আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি শাহ এবং বিচারপতি নাগারথানার বেঞ্চ এই রায় দেয়। এব্যাপারে নৈনিতাল হাইকোর্টের সিদ্ধান্তকে বাতিল করে দেয় শীর্ষ আদালত।