প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা থেকে বঞ্চিত রাজ্যের কৃষকরা
এদিন শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন, রাজ্যের কৃষকরা প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা থেকে বঞ্চিত। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনার প্রিমিয়ামের ৬০ শতাংশ দেয় কেন্দ্রীয় সরকার এবং ৪০ শতাংশ দেয় নির্দিষ্ট রাজ্য সরকার। কিন্তু এই রাজ্য থেকে এই প্রকল্প তুলে নেওয়া হয়েছে। যার জেরে ঘূর্ণিঝড় প্রবণ এলাকার কৃষকরা বঞ্চিত। উপকূল এলাকার কৃষকরা আম্ফান, যশে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন। এই প্রকল্প চালু করে রাজ্যের কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে তিনি রাজ্য সরকারের
কাছে আহ্বান জানিয়েছেন। রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে তিনি এই দাবি করছেন বলে জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, তিনি ২০২১-এর ৫ জানুয়ারি হলদিয়ায় গিয়েছিলেন ইন্ডিয়ান অয়েলের অনুষ্ঠানে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার যদি পিএম কিষাণ প্রকল্পের জন্য তালিকা পাঠায় সঙ্গে সঙ্গে তার অনুমোদন দেওয়া হবে। তিনি বলেন নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। গণতন্ত্রের নিয়মে একজন জিতেছে, বাকিরা হেরেছে।
পশ্চিমবঙ্গ সরকার পুরো তালিকা পাঠাক
তিনি আরও বলেন, রাজ্যে কৃষকরা পিএম কিষাণ যোজনায় সুবিধা পেতে শুরু করেছেন। সারা দেশে এর সুবিধা পাচ্ছেন প্রায় ১০ কোটি কৃষক। তবে যেখানে রাজ্যের প্রায় ৭৩ লক্ষ কৃষকের এই সুবিধা পাওয়ার কথা, সেই সুবিধা বর্তমানে পাচ্ছেন ৩১ লক্ষ কৃষক। বাকি কৃষকদের তালিকা রাজ্য সরকার যাতে কেন্দ্রের
কাছে পাঠায় তার জন্য তিনি বিরোধী দলনেতা হিসেবে সরকারের কাছে আবেদন জানান।
স্বাস্থ্যসাথী ব্যর্থ
এদিন শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ব্যর্থ হয়েছে। এই কার্ড রাজ্যের বাইরে চলে না বলে জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, সারা ভারতের বহু মানুষ যখন আয়ুষ্মান ভারতের সুবিধা পাচ্ছেন, সেখানে পশ্চিমবঙ্গ হল একমাত্র রাজ্য যেখানে আয়ুষ্মান ভারতের সুযোগ পাচ্ছে না। তিনি রাজ্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ভোটের সময় রাজনীতি। ভোট বাদ দিয়ে সবসময় মানুষের জন্য কাজ, এই বিষয়টিকে মাথায় রেখে রাজ্যে আয়ুষ্মান ভার চালু করা হোক। যাতে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদীর নয় বছর পূর্তির
সময়ে রাজ্যের কতজন আয়ুষ্মান ভারতের সুবিধা পাচ্ছেন তা জানতে পারা যায়।