৯ জুন পর্যন্ত হেফাজতে সত্যেন্দ্র জৈন
দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনের বাড়িতে গতকাল রাতে হানা দেয় ইডির আধিকারীকরা। তাঁর বিরুদ্ধে ৪.৮ কোটি টাকা আর্থিক তছরুপের অভিযোগ রয়েছে। তারপরে রাতেই কোনো রকম সুযোগ না দিয়েই গ্রেফতার করা হয় সত্যেন্দ্র জৈনকে। আজ সকালে তাঁকে আদালতে পেশ করা হয়। এবং ৯ জুন পর্যন্ত তাঁকে ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। হাওলার মাধ্যমে টাকা লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে তাঁর।
সত্যেন্দ্রর পাশে কেজরিওয়াল
নিজের মন্ত্রীসভার সদস্য গ্রেফতার হলেও তার হাত ছাড়তে নারাজ মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন তার সহযোগীর উপরে পূর্ণ ভরসা এবং বিশ্বাস রয়েছে। সেকারণে তিনি কোনো ভাবেই সত্যেন্দ্র জৈনকে বরখাস্ত করবেন না বলে জানিয়েছেন। কেজরিওয়ালের দাবি বিজেপির চক্রান্তেই এই ধরনের কাজ হচ্ছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পরেই একের পর এক অবিজেপি দলের নেতাদের বাড়িতে ইডি-সিবিআই রেড চলছে। দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীকে হাজত বাস করতে হয়েছে।
মমতার সুরে সুর মেলালেন কেজরিওয়াল
এই বিষয়ে অরবিন্দ কেজরিওয়াল মমতার সুরে সুর মিলিয়েছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য একুশের ভোটের আগে থেকেই অবিজেপি একাধিক রাজনৈতিক দলের বাড়িতে সিবিআই-ইডি হানা দিয়েছে। কয়লা পাচার কাণ্ডে একাধিকবার জেরা করা হয়েেছ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের বাড়িতে ইডি তল্লাশি হয়েছে। এমনকী হেমন্ত সোরেনের বাড়িতেই ইডি হানা দিয়েছে। বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতেই ইডি-সিবিআইকে ব্যবহার করছে মোদী সরকার এমনই অভিযোগ করেছেন মমতা। এক্ষেত্রে অরবিন্দ কেজরিওয়াল সেই একই কথা বলেছেন।
সত্যেন্দ্রকে অপসারণের দাবি
দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতারের দাবিতে সরব হয়েছিলে বিজেপি এবং কংগ্রেস। পাঞ্জবে যেভবে মান সরকার দুর্নীতি দমনে নিজের দলের মন্ত্রীকে অপসারণ করেছে। সেরকম সত্যেন্দ্র জৈনকে অপসারণের দাবি জানিয়েছেন বিরোধীরা। তাঁরা অভিযোগ করেছেন দুর্নীতি গ্রস্ত মন্ত্রীর দায়িত্বে থাকার অধিকার নেই। তাকে সরাতে হবে বলে দাবি করেছেন তাঁরা।