ভারত ও চিন শীঘ্রই ফের আলোচনার টেবিলে বসতে চলেছে। উভয় দেশই সামরিক আলোচনায় বসতে সম্মত হয়েছে। মঙ্গলবার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ধীর গতিতে চলমান বিচ্ছিন্নকরণ প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে সিনিয়র সামরিক কমান্ডাররা স্থির করেন, পরবর্তী দফা আলোচনায় বসবেন তাঁরা। শুরু হবে শান্তি বৈঠক।
ভারত ও চিন- দুই পক্ষের কর্মকর্তারা সীমান্ত বিষয়ক ওয়ার্কিং মেকানিজম ফর কনসালটেশন অ্যান্ড কোঅর্ডিনেশনের ২৪তম বৈঠকে নিয়ন্ত্রণ রেখা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন। তাঁরা কূটনৈতিক ও সামরিক চ্যানেলের মাধ্যমে আলোচনা চালিয়ে যেতে সম্মত হন। এবং তাঁরা বাকি সমস্যাগুলির সমাধান করতেও সম্মত।
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি করার পক্ষে মত দিয়েছেন উভয়েই। এই প্রেক্ষাপটে তারা বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুসারে পশ্চিম সেক্টরে এলএসি বরাবর সমস্ত পয়েন্ট থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্নতার লক্ষ্য নিয়েছেন সিনিয়র কমান্ডাররা। এবং পরবর্তী রাউন্ডের বৈঠকের প্রাথমিক তারিখ স্থির করতেও সম্মত হয়েছেন তাঁরা।
১১ মার্চ অনুষ্ঠিত আলোচনার ১৫তম রাউন্ডে উভয় পক্ষই এই অগ্রগতি লাভ করতে ব্যর্থ হয়। তখন তাঁরা হট স্প্রিংস এলাকায় প্যাট্রোলিং পয়েন্ট ১৫-র বিচ্ছিন্নতা নিয়ে আলোচনা করেন। কর্মকর্তারা তখন পরামর্শ দিয়েছিলেন, তাঁরা প্রাথমিক ভাবে ওই বৈঠকের রেজোলিউশনের প্রত্যাশা করেছিলেন। বাকি দুটি অঞ্চল ডেমচোক এবং ডেপসাং-এর পার্থক্য আরও স্পষ্ট ছিল। ১৪ দফা আলোচনার পরে গালওয়ান উপত্যকা এবং প্যাংগং লেক-সহ অন্যান্য সংঘর্ষপূর্ণ অঞ্চলে সৈন্যরা বিচ্ছিন্ন হতে শুরু করে।
চিনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের ২৫ মার্চ নয়াদিল্লি সফরের সময় উভয় পক্ষ এলএসি নিয়ে আলোচনা করেছিল। বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর তখন বলেছিলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে কাজ চলছে ধীর গতিতে। দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উচিত হবে এটিকে দ্রুততার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে শেষ করা। ভারতের অবস্থানের উপর জোর দিয়ে তিনি জানান, সম্পর্কের স্বাভাবিকতা পুনরুদ্ধারের জন্য অবশ্যই আলোচনায় জোর দিতে হবে।
মঙ্গলবার চিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, উভয়েই পারস্পরিক ও সমান নিরাপত্তা নীতি অনুসারে সীমান্তের পশ্চিম অংশের অবশিষ্ট সমস্যাগুলি সমাধান করতে সম্মত হয়েছে। বাণিজ্য ও বিনিয়োগে সীমান্ত সমস্যার প্রভাব সম্পর্কে জানতে চাইলে চিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেন, চিন সবসময় বিশ্বাস করে যে, সীমানা প্রশ্নেই চিন-ভারত সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা আটকে রাখলে হবে না, আমাদের এটিকে দ্বিপাক্ষিক ক্ষেত্রে উপযুক্ত অবস্থানে নিয়ে যেতে হবে।