নেপালে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। ভোর থেকেই উদ্ধারকাজ শুরু করেছে নেপাল সেনা। নেপালের মুস্তাং জেলার কোয়াং গ্রামের কাছে বিমাটি ভেঙে পড়েছিল। একেবারে গুঁড়িয়ে গিয়েছে বিমানটি। আশঙ্কা মতই বিমানের কোনও যাত্রীই বেঁচে নেই। উদ্ধারকাজ শুরু করেেছ নেপাল সেনা।
রবিবার সকালেই হঠাৎ করে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল নেপালের এই প্রাইভেট বিমানটি। তাতে ১৯ জন যাত্রী এবং ৩ জন ক্রু ছিলেন। বিমান বন্দর থেকে ওড়ার পরে তার সঙ্গে আর কোনও যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। আশঙ্কা করা হচ্ছিলে নেপালেরই কোনও দুর্গম পার্বত্য এলাকায় ভেঙে পড়েছে বিমানটি। সেই আশঙ্কাই সত্যি হয়েছে। সোমবার ভোরে বিমানটির খোঁজ মেলে। দুর্গম পার্বত্য এলাকায় দু-টুকরো অবস্থায় পড়েছিল বিমানটি। নেপাল সেনা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ভোর থেকেই তাঁরা উদ্ধারকাজ শুরু করেছেন।
গতকাল পাইলট যে সিগনাল দিয়েছিল তাতে সেই অঞ্চলের কোথাও বিমানটি ভেঙে পড়েছে তার ইঙ্গিত মিলেছিল। কিন্তু প্রবল তুষারপাতের কারণে আর সেসময় খোঁজ খবর করতে পারেনি নেপাল সেনা। যেখানে বিমানটি ভেঙে পড়েেছ সেখানে প্রবল তুষারপাত চলছে। তারপরে আবার দুর্গম পাহাড়ি এলাকা হেলিকপ্টার পৌঁছতে হিমসিম খেতে হয়েছে। সকারণে গতকাল রাতে উদ্ধারকাজ চালানো সম্ভব হয়নি।
ভোর থেকেই উদ্ধারকাজ শুরু করেছে নেপালে সেনা বাহিনী। বিমানের সব যাত্রীরই মারা গিয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। থাসাং-২-র সানোসারেতে বিমানটিতে দুটুকরো অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। যে অবস্থায় বিমানটি পড়ে রয়েছে তাতে কোনও যাত্রীরই বেঁচে থাকার আশা নেই। বিমানটিতে ভারতের চার নাগরিকও ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁরা মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা ছিলেন। তাঁদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।