মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে বিনিয়োগকারী সমস্যা কাটিয়ে উঠেছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। প্রথমে কোয়োস এবং পরে শ্রী সিমেন্ট-এর সঙ্গে গাঁঠছড়া বাঁধলেও, এই দুই সংস্থাকে বাধ্য হয়ে লাল-হলুদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে হয়েছে। শ্রী হারা ইস্টবেঙ্গলের ভবিষ্যৎ কী, কারা ইনভেস্টার হবে তাই নিয়ে ছিল একাধিক প্রশ্ন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর সাহায্যে অবশেষে সেই জট খুলেছে।
নবান্ন থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ডিলের কথা ঘোষণা করার ২৪ ঘণ্টা আগে একটি বেসরকারি সংস্থার অনুষ্ঠানে গিয়ে ভারতীয় দলের সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়ছিলেন ইস্টবেঙ্গল এবং ম্যানচেস্টার ইউাইটেডের মধ্যে কথপোকথন চলছে এবং আগামী ১০-১২ দিনের মধ্যে সবটা স্পষ্ট হয়ে যাবে। সূত্রের খবর, এই পুরো ডিলটা যাতে সমপন্ন করা যায় তার জন্য মধ্য মধ্যস্ততাকারী হিসেবে কাজ করা সৌরভ বলেছিলেন, "হ্যাঁ, আমরা ওদের সঙ্গে কথা বলেছি এবং অন্যদের সঙ্গেও কথা হয়েছে আমাদের। শেষ পর্যন্ত কোন সংস্থার সঙ্গে চুক্তি হবে তা জানতে এখনও ১০-১২ দিন লাগবে।" পাশাপাশি সৌরভ এ-ও জানিয়েছিলেন ইনভেস্টার হিসেবে নয, মালিক হিসেবে লাল-হলুদের দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারে রেড ডেভিলসরা। তিনি বলেছিলেন, "না, না, তারা মালিক হিসেবে আসবে (যদি আসে)। আগে বিষয়টা পাকা হতে দিন তার পর এই নিয়ে কথা বলবো আমি।"
ইমামির সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের ডিল সম্পূর্ণ হলেও খবর রয়েছে, এই ডিলের আশা এখনও শেষ হয়ে যায়নি এবং মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এই বিষয়ে কথাও হয়েছে সৌরভের। প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক মুখ খোলায় লাল-হলুদ সমর্থকেরা আশার আলো দেখলেও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, তাদের দিক দিয়ে কোনও কিছুই জানায়নি। উল্লেখ্য, ইংল্যান্ডের প্রচলিত পত্রিকা দ্য সান-এও এই নিয়ে একটি প্রতিবেদন বেরিয়েছিল। কিন্তু এই বিষয়ের সত্যতা জানার জন্য একটি মেল পাঠানো হয়েছিল এক ইংরেজি সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকে এবং সেই সংবাদমাধ্যমকে (নিউজ নাইন) ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের পক্ষ থেকে করা জবাবে জানানো হয়েছে, "এই খবরের কোনও ভিত্তি নেই যে আমরা আইএসএল-এ কোনও ফুটবল ক্লাবের জন্য বিড করবো।" ফলে, বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম ঐতিহ্যশালী ম্যান ইউ-এর এই পরিষ্কার করে দিল আদতে কোন স্তরে দাঁড়িয় রয়েছে দুই পক্ষের কথপোকথন এবং বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী দূর ভবিষ্যতেও সম্ভবনা নেই ম্য়ানচেস্টার ইউনাইটেডের ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে জোট বাধার।
অন্য দিকে, দুই বছরের চুক্তিতে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে সই করলেন মহম্মদ রাকিব। ইনভেস্টার পাওয়ার আগে থেকেই দল গোছানোর কাজ শুরু করেছে লাল-হলুদ। ইমামি নয়া বিনিয়োগকারী হিসেবে ঘোষণা হওয়ার পর সেই কাজে আরও গতি এসেছে।