রাজ্যসভা নির্বাচন নিয়ে তুঙ্গে তৎপরতা। কংগ্রেস যখন চূড়ান্ত বৈঠক করছে ঠিক তখনই আম আদমি পার্টি রাজ্যসভার দুই প্রার্থীর মনোনয়নে বড় চমক দিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। পাঞ্জাবের দুই পদ্মশ্রী জয়ীকে রাজ্যসভার মনোনয়ন দিয়েছেন তিনি। পদ্মশ্রী শ্রী সন্ত বলবীর সিং সিচাওয়াল এবং পদ্মশ্রী বিক্রম সিং সাহানিকে রাজ্য সভার টিকিট দিয়েছে আম আদমি পার্টি। আগামী ১০ জুন রাজ্যসভার ৫৭টি আসনে নির্বাচন।
আম আদমি পার্টির ৮টি আসন রয়েছে রাজ্য সভায়। পাঞ্জাবে সরকার গড়ার সুবাদে এবার রাজ্যসভার আসনে প্রার্থী দিতে পারছে আম আদমি পার্টি। আগে পাঞ্জাবের এই দুই আসনে রয়েছেন কংগ্রেসের অম্বিকা সোনি এবং শিরোমণি অকালি দলের বলবিন্দর সিং ভুন্দর। ৪ জুলাই তাঁদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। কাজেই এই দুই আসনে প্রার্থী দিচ্ছে আম আদমি পার্টি।
রাজ্যসভা আসনের জন্য কেজরিওয়াল বেছে নিয়েছেন পাঞ্জাবের বুদ্ধিজীবী মহলের ২ জনকে। কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিকে তাঁরা টিকিট দেননি। পদ্মশ্রী বলবিন্দর িসং সেচোয়াল ইকো-বাবা নামে পরিচিত পাঞ্জাবে। তিনি নদী দূষণের রোধে একাধিক কাজ করেছেন। আদতে তিনি একজন পরিবেশবিদ। সুলতানপুর লোধিতে ১৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ কালি বেন নদী একা হাতে সংস্কার করেছিলেন তিনি। পাঞ্জাবের জলন্ধরের এক চাষির পরিবারে জন্ম তাঁর। ২০০৭ সালে নদী সংস্কারের কাজ শুরু করেছিলেন তিনি। নদী দূষণ রোধে একাধিক প্রচার অভিযান চালিয়েছেন তিনি ২০১৭ সালে মোদী সরকার তাঁকে পদ্মশ্রী সম্মানে সম্মানিত করেছিল।
আম আদমি পার্টির আরেক প্রার্থী বিক্রম সিং সানি শিক্ষা ক্ষেত্রে একাধিক কাজ করেছেন। দীর্ঘ দিন ধরেই পাঞ্জাবে একাধিক সমাজসেবা মূলক কাজ করে চলেছেন তিনি। মরিসাস সরকার তাঁকে আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মানে সম্মানিত করেছে। আন্তর্জািতক পাঞ্জাবি সংস্থার সভাপতি তিনি। বিশ্বের দরবারে পাঞ্জাবের কালচারকে তুলে ধরতে একাধিক পদক্ষেপ করেছেন তিনি। শিক্ষার জন্য পাঞ্জাবের একাধিক ছাত্রকে স্কলারশিপ দিয়েছেন। এছাড়া ৫০০ আফগান হিন্দু এবং শিখ শিশুর পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছেন। করোনা মহামারীর মধ্যে পাঞ্জাবের মানুষকে অনেক সাহায্য করেছেন তিনি। মোবাইল পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে শুরু করে গ্রামে গ্রামে ২০০০ সিলিন্ডার অক্সিজেন পৌঁছে দিয়েছেন তিনি।
কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিকে রাজ্যসভার টিকিট না দিয়ে একপ্রকার বড় চমক দিয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। পাঞ্জাব জয়ের পর দুর্নীতি এবং স্বজনপোষণের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করে চলেছে ভগবন্ত মান সরকার। সেকারণে নিজের মন্ত্রিসভার মন্ত্রীকে পর্যন্ত বরখাস্ত করতে দ্বিধা করেননি তিনি।