শেষ পর্যন্ত লড়াইটা জিতেই গেলেন যৌনকর্মীরা। দেশের বিভিন্ন পতিতালয় থেকেও এই দাবি সব সময়েই উঠে আসত যে যৌনকর্মকে কাজ হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হোক। কিন্তু ফল মেলেনি। তবে একটা কথা বলতেই হয় অপেক্ষা করলে তার ফল ভালো হবেই। সব কিছুরই একটা সময় থাকে।
একদিনে সব কিছু হয় যায় না। এরকমও বলা যেতে পারে যে একদিনে হবে কিন্তু একদিন হবেই। এই মনোভাব নিয়ে এগোতে হবে। ঠিক সেটাই করে গিয়েছিলেন দেশের যৌনকর্মীরা। অপেক্ষা করেছেন। লড়াই করেছেন তাদের কাজের হয়ে। পথে নেমেছেন। সেই লড়াইয়ের শেষ পর্যন্ত জয় হল। দেশের সর্বোচ্চ আদালত জানিয়ে দিল যে যৌনকর্ম কে কাজ হিসাবে স্বীকৃতি দিতে হবে।
যৌন পরিষেবা দেওয়াটাও আইনস্বীকৃত পেশা,এমনটাই জানিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। কোর্ট জানিয়েছে যে, যারা এই পেশার সঙ্গে যুক্ত তাদের সম্মানজনক জীবনযাপনের অধিকার আছে।
কোর্ট আরও বলেছে যে যারা যৌনকর্মীদের হেনস্থা করা যাবে না। পুলিশ যখন ইচ্ছা হবে তখন যে কোনও পতিতালয়ে গিয়ে তাঁদের উপর কোনওরকম অপরাধমূলক মামলা করতে পারবে না।
সুপ্রিম কোর্ট বলেছে যে, এই দেশের প্রত্যেক নাগরিকের মতোই এখন থেকে যৌনকর্মীদেরও সম্মানজনক জীবনধারনের অধিকার রয়েছে এবং থাকবেও। কোর্ট এটাও বলেছে যে আইনের সুরক্ষা পাওয়ার অধিকার রয়েছে যৌনকর্মীদেরও। আবার এটা বলা হয়েছে যে যদি কোনও প্রাপ্তবয়স্ক স্বেচ্ছায় এই পেশায় আসে এবং কাউকে পরিষেবা দেয় তাঁর বিরুদ্ধেও কোনওরকম অপরাধমূলক মামলা দেওয়া যাবে না।
এই রায় দেয় বিচারপতি এএস বোপান্নার বিচারপতি বিআর গভই , বিচারপতি এএস বোপান্নার ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতিরা বেশ কিছু নির্দেশিকা বেঁধে দিয়েছেন যৌনকর্মীদের জন্য। কোনও যৌনকর্মী যদি তাঁর কর্মক্ষেত্রে হেনস্থার শিকার হন তাহলে তিনি যদি কোনওরকম মামলা কিংবা অভিযোগ দায়ের করেন তবে তিনি আইনি সহায়তা পাবেন এবং এটা তাঁকে দিতে হবে।
গোপনীয়তার দিকে নজর রাখতে হবে যৌনকর্মীদের পরিচয়ের। তাঁদের সচেতন করতে হবে যৌনকর্মীদের অধিকার সম্পর্কে। যদি কোনও মহিলা যৌনকর্মকে পেশা হিসাবে বেছে নেন আর তাঁর যদি কোনও সন্তান থাকে তাহলে সেই সন্তানকে তাঁর থেকে আলাদা করা যাবে না। এটাও ধরে নেওয়া যাবে না যে কোনও শিশু পতিতালয়ে থাকছে মানেই তাঁকে পাচার করে আনা হয়েছে । সেদিক প্রত্যেকটি আদালতের প্রত্যেকটি কথা যৌনকর্মীদের জন্য বড় জয় তা বলা যেতেই পারে।