হায়দরাবাদে মোদী
হায়দরাবাদে আজ সভা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বেগমপেট বিমানবন্দরে অবতরণ করে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিমান। বিমানবন্দরের কাছেই তেলেঙ্গানা বিজেপির পক্ষ থেকে জনসভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই সভায় অংশ নেন মোদী। সেখান থেকেই কেসির এবং কংগ্রেসকে তীব্র নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী। এগিয়ে আসছে তেলেঙ্গানার বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে রাজ্যে সংগঠন শক্তিশালী করার তোরজোর শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। মোদীর এই সভা সেখানকার দলীয় কর্মীেদর চাঙ্গা করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
কেসিআরকে নিশানা
হায়দরাবাদের সভা থেকে তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কেসিরকে নিশানা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পরিবার তান্ত্রিক রাজনীতির অবসান ঘটাবে বিজেপি। হুঙ্কার দিয়েছেন মোদী। একযোগে কংগ্রেস এবং কেসিয়ারকে নিশানা করেছেন তিনি। েতলেঙ্গানার মানুষের জন্য বিজেপি নিরন্তর কাজ করে চলেেছ বলে দাবি করেছেন তিনি। তাই বিজেপি ক্ষমতায় এলে তেলেঙ্গানার মানুষের আরও উন্নয়ন হবে। দুর্নীতি গ্রস্ত পরিবারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে যখন মানুষ ভোট দেবেন তখন তেলেঙ্গানার আসল উন্নয়ন শুরু হবে। কারণ যাঁরা পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতি করেন তঁারা কেবল নিজেদের কথা ভাবেন। নিজেদের পরিবারের কথা ভাবেন। সাধারণ মানুষের কথা ভেবে কাজ করেন না।
কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদলের অভিযোগ
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অভিযোগ করেছেন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদলে নিজেদের নামে চলাচ্ছে কেসির সরকার। এই একই অভিযোগ উঠেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধে। কেসির কুসংস্কারের জালে জড়িয়ে রাখছেন সাধারণ মানুষকে। তিনি পুরনো সচিবালয়ে যান না কারণ তাঁর দাবি সেখানে সঠিক বাস্তু নেই। তার অমঙ্গল হবে। তার জন্য নতুন সচিবালয় তৈরি করছেন তিনি। সাধারণ মানুষের মন কুসংস্কারে ভরিয়ে রাখতে চাইছেন তিনি। মোদীর দাবি বিজ্ঞান মেনে কাজ করতে হয়। কুসংস্কর মেনে নয়। এই প্রসঙ্গে যোগী আদিত্যনাথের প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন তিনি। একজন সন্ন্যাসী হয়েও তিনি কুসংস্কর মুক্ত বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
বিদ্রোহী কেসিআর
ভোট যত এগিয়ে আসছে তত বিদ্রোহী হয়ে উঠছেন কেসিআর। বিজেপি বিরোধী শিবিরে নাম লিখিয়েছেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। এমনকী মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গেও কথা বলেছেন তিনি। লোকসভা ভোটের আগে বিরোধী ঐক্যকে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করে চলেছেন তিনি। বিজেপির কাছে কিছুতেই মাথা নোয়াবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কে চন্দ্র শেখর রাও।