মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করার সিদ্ধান্ত
রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত তুঙ্গে। এবার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যর বিশ্ববিদ্যালয় গুলির আচার্য নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যমন্ত্রিসভা। রাজ্য মন্ত্রিসভার এই প্রস্তাবে সিলমোহর দিয়েছে সকলেই। বিধানসভায় বিলপেশ করা হবে। তাতে রাজ্যপালকেই সই করতে হবে। রাজ্যপাল যদি অনুমোদন না দেন তাহলে অর্ডিন্যান্স এনে এই বিল পাস করানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। কাজেই রাজ্যপালকে আচার্য পদ থেকে সরাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে রাজ্য সরকার। এর আগে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন সেই প্রস্তাবে কার্যত আজ সিলমোহর দিল রাজ্য মন্ত্রিসভা।
কড়া প্রতিক্রিয়া সুজন চক্রবর্তীর
মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্য রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালগুলির আচার্য নিয়োগের সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছেন বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেছেন এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক সিদ্ধান্ত। এতে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয় সহ শিক্ষা ব্যবস্থায় রাজনীতি প্রবেশ করবে। অর্থাৎ সরাসরি রাজনীতির হস্তক্ষেপ হবে। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধন্ত একেবারেই মনে নেওয়া যায় না বলে তীব্র নিশানা করেছেন তিনি।
তীব্র বিরোধিতা বিজেপির
রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপিও এর তীব্র বিরোধিতা করেছে। দলের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য তার বিরোধিতা করে বলেছেন শিক্ষা ব্যবস্থার উপর নিয়ন্ত্রণ আনার চেষ্টা করছেন মমতা। দুর্নীতি থেকে নজর ঘোরাতেই এই সিদ্ধন্ত নেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গত কয়েক মাস ধরেই রাজ্যে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় চলছে। রাজ্যের মন্ত্রীদেরও এই মামলায় একাধিক বার জেরা করা হয়েছে। এই নিয়ে চাপের মধ্যে রয়েছে রাজ্য সরকার। তারমধ্যে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নতুন জল্পনা তৈরি করেছে।
রাজ্যপালের সঙ্গে বিরোধ
রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্য সরকারের বিরোধ নতুন নয়। রাজ্যপাল উপাচর্যদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সই করছেন না। এমনকী বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক কাজে হস্তক্ষেপ করে চলেছেন। তারই প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচর্যরা এক যোগে প্রতিবাদ জনিয়েছিলেন। তারপর থেকেই মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য পদে বসানোর জল্পন শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত রাজ্য মন্ত্রিসভায় সেই সিদ্ধন্তে সিলমোহর দিয়েছে। এবং শীঘ্রই এই নিয়ে বিধানসভ প্রস্তাব আনা হবে বলে জানানো হয়েছে। রাজ্যপাল বিলে সই না করলে অর্ডিন্যান্স জরি করা হবে।