হার্দিক আয়ারল্যান্ডে অধিনায়ক?
১৫ জুন রোহিত শর্মার নেতৃত্বে ভারতের টেস্ট দল যাবে ইংল্যান্ডে। লোকেশ রাহুল ও ঋষভ পন্থ দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টি ২০ সিরিজে অধিনায়ক ও সহ অধিনায়ক হয়েছেন। তবে তাঁরা আয়ারল্যান্ডে টি ২০ সিরিজে যাবেন না। চারদিনের প্রস্তুতি ম্যাচে তাঁরা খেলবেন ১ জুলাই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অসমাপ্ত সিরিজের পঞ্চম টেস্টে নামার আগে। টিম ম্য়ানেজমেন্টের রণকৌশলকে মান্যতা দিতে শিখর ধাওয়ানকে টি ২০ দলের জন্য ভাবছেন না জাতীয় নির্বাচকরা। এই পরিস্থিতিতে আয়ারল্যান্ড সফরে ভারতের দুটি টি ২০ ম্যাচে নেতৃত্ব দিতে পারেন হার্দিক পাণ্ডিয়াই। দৌড়ে ভুবনেশ্বর কুমারও রয়েছেন। কিন্তু আইপিএলে সাম্প্রতিক ফর্মের নিরিখে এগিয়ে হার্দিকই। তিনি আয়ারল্যান্ড থেকে ইংল্যান্ড পৌঁছাবেন। আয়ারল্যান্ডের টি ২০ সিরিজ ও ইংল্যান্ডে সাদা বলের সিরিজের দল ঘোষণা দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের পরেই হবে। আয়ারল্যান্ডে ভারতের কোচ হয়ে যাচ্ছেন ভিভিএস লক্ষ্মণ।
দুরন্ত ছন্দে
চলতি আইপিএলে ১৪টি ম্যাচে হার্দিক পাণ্ডিয়া ৪৫৩ রান করেছেন। গড় ৪৫.৩০, স্ট্রাইক রেট ১৩২.৮৪। চারটি অর্ধশতরান করেছেন। বল হাতে উইকেটও পাচ্ছেন। ইডেনে কোয়ালিফায়ারে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে রান তাড়া করে জেতার ক্ষেত্রেও ডেভিড মিলারকে যোগ্য সঙ্গত দিয়ে অপরাজিত থেকেছেন হার্দিক। তাঁর এই ফর্ম শুধু আইপিএল নয়, ভারতীয় দলের ক্ষেত্রেও ইতিবাচক বলে মন্তব্য করেছেন মহম্মদ কাইফ। হার্দিক নিজেও বলেছেন, আমি দলের প্রয়োজনে যে কোনও জায়গায় ব্যাট করতে প্রস্তুত। তা না করলে সাফল্যও যে পাব না সে ব্যাপারেও আমি নিশ্চিত।
প্রশংসা কাইফের
স্টার স্পোর্টসের ক্রিকেট লাইভ অনুষ্ঠানে কাইফ বলেন, ভারতীয় দলে হার্দিকের অভাব অনুভূত হচ্ছিল। তিনি দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য, দলের সাফল্যেও অবদান রাখেন। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে তিনি ফিনিশারের ভূমিকা পালন করেছেন। গুজরাত টাইটান্সে অধিনায়ক হওয়ার পর তিনি চার নম্বরে ব্যাট করতে নামার চ্যালেঞ্জও নিয়েছেন। একের পর এক ম্যাচে তিনি ভালো খেলছেন। হার্দিকের এমন প্রত্যাবর্তন দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টি ২০ সিরিজের আগে ভারতীয় দলের পক্ষেও দারুণ খবর। তিনি অসাধারণ ব্যাট করছেন। বল হাতেও যথেষ্ট শৃঙ্খলা ও নিয়ন্ত্রণ দেখাচ্ছেন। যা ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য খুব ভালো ইঙ্গিত।
উচ্ছ্বসিত রায়না
যেভাবে হার্দিকের নেতৃত্বে রাজস্থান রয়্যালসকে হারিয়ে গুজরাত টাইটান্স ফাইনালের টিকিট আদায় করে নিয়েছে তাতে খুশি সুরেশ রায়নাও। তিনি বলেন, চোট সারিয়ে মাঠে ফেরার পর থেকে হার্দিককে বেশ ভালো তরতাজা লাগছে। নিজের খেলা আরও ভালোভাবে উপলব্ধি করছেন। ব্যাট-বল হাতে ভালো খেলছেন। আগে থেকেই তাঁর মধ্যে নেতৃত্বদানের সহজাত দক্ষতা ছিল বলে আমার মনে হয়। তাঁর পরিবারের সহযোগিতায় সেটা এখন স্পষ্ট হয়েছে। সহজাত দক্ষতায় যেভাবে হার্দিক গুজরাত টাইটান্সকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তা অনবদ্য। তাঁর নেতৃত্বের জন্যই গুজরাত এতো ভালো করছে। তিনি প্রত্যেক ক্রিকেটারের পাশে থেকে সেরাটা বের করে আনছেন।
ক্যাপ্টেন কুল পাণ্ডিয়া!
মহেন্দ্র সিং ধোনির পর হার্দিককেও অনেকে ক্যাপ্টেন কুল বলছেন। ধোনির থেকে শান্ত থাকার কৌশল রপ্ত করেছেন পাণ্ডিয়া। গুজরাতকে ফাইনালে তোলার পর বলেছেন, আমি এখন আবেগকে সরিয়ে অনেক কিছুর ভারসাম্য রেখে এগোচ্ছি। আমার ফিটনেস সংক্রান্ত বিষয়, জৈব সুরক্ষা বলয়ের জীবন-সহ বেশ কিছু কঠিন সময় ও পরিস্থিতির মধ্যে গিয়ে গিয়েছি। আমার পুত্র, স্ত্রী এবং আমার ভাইয়ের আমার কামব্যাকের পিছনে বড় অবদান রয়েছে। এতে আমি আরও নিরপেক্ষ হতে পেরেছি। ভালোর মধ্যে থাকলে সব কিছুই ভালো হয়, সেটা আমাদের দলেও দেখছি। আইপিএল ফাইনালে উঠলেও বিরাট কোনও অনুভূতি নেই। ভাবলেশহীনই থাকছি। প্রথম একাদশের বাইরে থাকা ক্রিকেটাররাও জেতার জন্য সবরকম সহযোগিতা করছেন। আমি আগে চারবার আইপিএল ফাইনাল খেলেছি। চারবারই জিতেছি। এবারও গুজরাতের হয়ে খেতাব জয়ের স্বপ্ন রয়েছে শুরু থেকেই।