ফুটবলে দীর্ঘদিন ট্রফিহীন ইস্টবেঙ্গল। আইলিগ শেষ কবে জিতেছে তা ভুলে গিয়েছে তারা। আইএসএলে আসার পর অবস্থা ততোধিক খারাপ হয়েছে। যাওবা কলকাতা লিগটা জিতত এখন সেটাও হয় না। যেটা তাদের ভিত সেই ফুতবলে ভয়ঙ্কর খারাপ অবস্থা লাল হলুদের। সঙ্গে চলছিল স্পনসর সমস্যা। ফুটবলে সাফল্য না এলেও ক্রিকেটে সাফল্য এল। ইস্টবেঙ্গল জিতল জেসি মুখোপাধ্যায় ট্রফি।
তপন মেমোরিয়ালকে লালা হলুদ ব্রিগেড কার্যত দুরমুশ করে ট্রফি জিতে নিল। আকাশের মুখ ভার থাকলেও , ইস্টবেঙ্গলের ট্রফি জয় তা আটকাতে পারেনি। তিন বল বাকি থাকতে ৯ উইকেটে সহজ জয় ছিনিয়ে নেয় ইস্টবেঙ্গল। খেলা হয় ইডেন গার্ডেনেই যেখানে গতকাল রজত পতিদারের সেঞ্চুরি দেখেছে কলকাতার দর্শক। বিরাটদের বড় জয় এসেছে ১৩ রানে। তারা গুজরাত পৌঁছে গিয়েছে দ্বিতীয় এলিমিনেটর খেলতে। গতকালে বৃষ্টির জন্য ওই ম্যাচ দেরিতে শুরু হয়। তবে এদিনের বৃষ্টি ওভার কমিয়ে দেয়। বৃষ্টির কারণে খেলা হয় ৯ ওভারের।
তপন মেমোরিয়াল ক্লাব প্রথমে ব্যাট করে ৯ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৫৪ রান করে। রোহিত কুমার ২ টি, সৌরভ মণ্ডল ২ টি, অয়ন ভট্টাচার্য ২ টি উইকেট নেন। বাকি দুটি উইকেট নেন সায়ন শেখর মণ্ডল ও সোহম ঘোষ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব ৮.৩ ওভারে ১ উইকেটে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ৫৫ রান তুলে নেয়। রঞ্জত সিং খয়ড়া ২৭ রানে নট আউট থাকেন। দুই ওভারে সাত রান দিয়ে দুই উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা হন সৌরভ মণ্ডল। এই নিয়ে মোট ১৩ বার জে.সি.মুখার্জি ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হলো ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। শেষবার ২০১৬-১৭ তে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব এই ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।
সেমিফাইনাল হয়েছিল কালীঘাট ক্লাবের বিরুদ্ধে। খেলা হয় ইডেন গার্ডেনে কালীঘাট ক্লাব প্রথমে ব্যাট করে ১৯.১ ওভারে ১০ উইকেটে ১০৫ রান করেছিল। শ্রেয়ান চক্রবর্তী ৪ টি, সায়ন শেখর মন্ডল ৩ টি উইকেট নেন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব ১২.১ ওভারে উইকেটে না হারিয়ে ১০৬ রান তুলে নেয়। রঞ্জত সিং খয়ড়া ৫৪ ও অঙ্কুর পাল ৫১ করে নট আউট থাকেন। ১০ উইকেটে জিতে ফাইনালে যায় ইস্টবেঙ্গল। ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হয়েছিলেন রঞ্জত সিং খয়ড়া।
এর আগে গ্রুপ লীগের শেষ ম্যাচ ছিল কোলকাতা স্পোর্টিং ইউনিয়নের বিরুদ্ধে। খেলা হয়েছিল সল্টলেকে যাদবপুর ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে। ইস্টবেঙ্গল ক্লাব প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৮১ রান করে। সায়ন শেখর মন্ডল করেন ৪৩ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে কোলকাতা স্পোর্টিং ইউনিয়ন ৯৩ রানে অল আউট হয়ে গিয়েছিল। সন্দীপন দাস (জুনিয়র) ৪ টি উইকেট নিয়েছিলেন । ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হয়েছিলেন সায়ন শেখর মন্ডল।