ঋদ্ধিমানকে নানাভাবে মানানোর চেষ্টা করছে সিবিআই। শেষ চেষ্টাও বিফলে গেল বলা যেতেই পারে । সিএবি প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়া এ নিয়ে প্রথমবার বিবৃতি দিলেন। আর তাতেই স্পষ্ট হয়ে গেল ঋদ্ধিমান আর বাংলার হয়ে যে কোনও মূল্যেই খেলতে চান না।
ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল বা সিএবি চেয়েছিল ঋদ্ধিমান সাহা রঞ্জি ট্রফির গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বাংলার হয়ে খেলুক কারণ গ্রুপ পর্বের শেষে বাংলা লিগ টেবিলে সবার উপরে ছিল। এবার রঞ্জি ট্রফি জেতার জন্য বাংলা নকআউট পর্বে লড়বে। এমন ম্যাচে দলে অভিজ্ঞ এবং বড় প্লেয়ারদের দরকার। তাই ঋদ্ধিকে দলে চেয়েছিল টিম অরুণ লাল এবং সিএবি ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু তা আর হল না।
অভিষেক ডালমিয়া বলেন , "আমি ঋদ্ধিমানকে বলেছিলান যে ওঁকে রঞ্জির নক আউট প্রবের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বাংলার দরকার আছে এবং ওঁকে ওঁর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করেছিলাম। ঋদ্ধিমান আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন এবং জানিয়েছেন যে তিনি রঞ্জি নকআউট খেলতে ইচ্ছুক নন।" পাশাপাশি এও জানা গিয়েছে যে বাংলা দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকেও বেরিয়ে গিয়েছেন ঋদ্ধিমান।
সিএবি - ঋদ্ধিমান তরজা প্রকাশ্যে আসে ১৭ মে। সেদিন ঋদ্ধি রঞ্জি ট্রফি দলে নাম থাকার পরেও বাংলা ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা বলেন। খবর মেলে ঋদ্ধি বলেন সিএবি যেভাবে তার সাথে আচরণ করেছে তাতে বিরক্ত হয়েছিলেন ৩৭ বছর বয়সী উইকেটকিপার , কারণ বোর্ড তাঁকে ঘরোয়া দল ছেড়ে যাওয়ার জন্য নো অবজেকশন সার্টিফিকেট চেয়েছিল। তাঁকে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছিল। এতেই বিরক্ত হন ঋদ্ধিমান সাহা।
সাহার ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গিয়েছিল ৩৭ বছর বয়সী, 'ব্যক্তিগত কারণ' উল্লেখ করে রঞ্জি লিগ পর্ব থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করেছিলেন, তার নাম দলে রাখার তাঁর আগে সঙ্গে পরামর্শ করা হয়নি। এই বিষয়টি জানার পরে, বিরক্ত সাহা বাংলা ছেড়ে যাওয়ার জন্য এনওসি চেয়ে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল (সিএবি) এর সভাপতি অভিষেক ডালমিয়ার সাথে কথা বলেন। বিষয়টি একটি গোপনীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। তিনি ডালমিয়াকে বলেন , "তিনি আর বাংলার হয়ে খেলতে আগ্রহী নন এবং একটি এনওসি চেয়েছেন। মূলত তিনি এক সিএবি কর্মকর্তার যুগ্ম সচিব দেবব্রত দাস উপর খুব বিরক্ত, যিনি সাহা লিগ পর্বে খেলতে না চাওয়ায় সাহার ডেডিকেশন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তিনি জনসমক্ষে তাঁকে ক্ষমা চাইতে বলেছিলেন" এই জন্যই তিনি এই সিদ্ধান্ত নেন বলে জানা যায়।
তখন তার স্ত্রী রোমি বলেছিলেন , "কয়েক মাস আগে, যখন ঋদ্ধি ব্যক্তিগত কারণে রঞ্জি ট্রফি লিগ পর্ব এড়িয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তখন এক সিএবি কর্মকর্তা ওঁর ডেডিকেশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে মিডিয়াকে বিবৃতি দিয়েছিন। একজন সিনিয়র খেলোয়াড় যিনি বাংলার ক্রিকেটকে সবটুকু দিয়েছেন তাঁকে নিয়ে এমন কথা ঋদ্ধিকে আঘাত করেছিল"।