অসমের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েই চলেছে। হু হু করে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। ইতিমধ্যই ২৮ জন মারা গিয়েছেন। সেই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা কর হচ্ছে। ৫ লক্ষেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই বন্যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ১৫টি জেলার বসিন্দা। কয়েক হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। যদিও জেলা প্রশাসনের তরফে দাবি করা হয়েছে সামান্য হলেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।
বর্ষার আগেই বন্যায় ভাসছে অসম। ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সেখানে। ১৫টি জেলার কয়েকশগ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। অসংখ্য মানুষ ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় িনয়েছেন। কয়েক হাজার কঁাচা বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। সড়ক পর পর ধসে বিপর্যস্ত। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে অসমের কাছাড় জেলার। এছাড়া কার্বি আংলং, কামরূপ, নওগাঁওজেলার পরিস্থিতিও অত্যন্ত খারাপ। কাছার জেলার সঙ্গে সংযোগকারী একধিক সড়ক ধসে ভেঙে গিয়েছে। যার জেরে সেনা নামিয়ে উদ্ধার কাজ চলাতে হয়েছে সেখানে।
অসম সরকর পরিস্থিতি সমাল দিতে সেনা সাহায্য নিয়েছে। এমনকী বায়ুসেনাও কাজ করেছে। তার সঙ্গে বিপর্যয় মোকবিলা দল এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকবিল দল কাজ করেছে। একাধিক জায়গায় রেল পথ জলে ডুবে গিয়েছে তর জেরে ট্রেন চলাচল করতে পারছে না একাধিক জেলার মানুষ। ১লক্ষের বেশি শিশু এবং ৫ লক্ষের বেশি সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৫১ হাজারের বেশি হেক্টর জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাজ্যে ৩১০ টি ত্রাণ শিবিরে ৭২ হাজরের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
এর আগে অসমে এমন বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়নি বর্ষা শুরুর আগে। ভরা গরমে ভয়বহ বন্যা নজির বিহীন ঘটনা। মে মাসে অসমের একাধিক জেলায় প্রবল বর্ষণ হয়েছে। তার প্রভাব পড়েছে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই অসময়ে এই বর্ষণ বলে মনে করা হচ্ছে। এরই মধ্যে বর্ষা শুরু হয়েগেলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।