কী বলছে গবেষণা ?
গবেষকরা মহামারির আগে তিনটি সাধারণ বায়ু দূষণ নিয়ে একটি মডেল তৈরি করেছিলেন। তার মধ্যে একটি ছিল সূক্ষ্ম কণা পদার্থ বা PM2.5, নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড যার বৈজ্ঞানিক নাম NO2 এবং স্থল-স্তরের ওজোন বা যাকে বলা হয় O3।
কী দেখেছেন গবেষকরা ?
তাঁরা এই পরীক্ষাটি করার জন্য দেখেন রোগ নির্ণয়ের তারিখ, লিঙ্গ , বয়স, কর্মীর অবস্থা, আশেপাশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা, পূর্ববর্তী ইনফ্লুয়েঞ্জা টিকাদানের ইতিহাসের মতো বিষয়গুলি। গবেষণায় হাসপাতালে ভর্তি, আইসিইউ ভর্তি এবং মৃত্যু হয় যথাক্রমে ৮৬৩০, ১৯১২ এবং ২১৩৭ জনের। প্রথম রোগ নির্ণয় এবং হাসপাতালে ভর্তি, আইসিইউ ভর্তি এবং মৃত্যুর মধ্যবর্তী সময় ছিল যথাক্রমে ৫ দিন, ৮ দিন এবং ১৫ দিন।
কী খুঁজে পাওয়া গিয়েছে ?
কানাডা সরকারের গবেষক হং চেন বলেছেন , "আমরা লক্ষ্য করেছি যে সার্স কোভ ২ সংক্রমণে আক্রান্ত ব্যক্তিরা যারা অন্টারিওর উচ্চ স্তরের বায়ু দূষণকারী অঞ্চলে বসবাস করতেন তাদের আইসিইউতে ভর্তি হওয়ার বেশি ঝুঁকি ছিল। গবেষকরা PM2.5 এবং O3-এর দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ব্যাপক ঝুঁকি এবং O3-এর দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার সঙ্গে করোনায় মৃত্যুর ব্যাপক সম্ভাবনার যোগ খুঁজে পেয়েছেন।
চলবে আরও পরীক্ষা
বায়ু দূষণের দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব কীভাবে করোনার তীব্রতাকে প্রভাবিত করতে পারে তার প্রক্রিয়া খুঁজে বের করার জন্য তারা আরও গবেষণার করবেন বলে জানিয়েছেন। সম্প্রতিফের চোখ রাঙাতে শুরু করেছে কোভিড ১৯। সেই কারনেই এবার ভারতে যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করল সৌদি আরব। সৌদি সরকার নাগরিকদের মোট ১৬ টি দেশে যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যার মধ্যে অন্যতম ভারত৷
ভারত ছাড়া সিরিয়া, লেবানন, তুরস্ক, ইরান, আফগানিস্তান, ইয়েমেন, সোমালিয়া, ইথিওপিয়া, কঙ্গো গণতান্ত্রিক, লিবিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, আর্মেনিয়া, বেলারুশ, ভেনেজুয়েলাতে যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তারা। কোভিডের সঙ্গেই বহু দেশেই হানা দিয়েছে মাঙ্কিপক্স। সৌদি আরবের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এখনও অবধি মাঙ্কিপক্সে তাঁদের দেশের কোনও নাগরিক আক্রান্ত হননি৷ সেই দেশের ডেপুটি হেলথ মিনিস্টার আবদুল্লাহ আসিরি জানিয়েছেন, যে কোনওরকম পরিস্থিতিতে নয়া মাঙ্কিপক্স শনাক্ত করা এবং তার বিরুদ্ধে লড়াই করার মতো পরিকাঠামো তাদের আছে। তাঁর কথায়, 'এই মুহূর্তে খুব কম পরিমাণ মানুষ কোভিড তথা মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হচ্ছেন। কাজেই নতুন করে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনাও কম৷ এমনকি যে দেশে এই রোগ ধরা পড়েছে, সেখানেও খুব কম সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন।'