মাদ্রাসা নিয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী
দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, যতদিন মাদ্রাসা থাকবে, ততদিন শিশুরা চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার কথা ভাবতে পারবে না। তিনি আরও বলেছিলেন মাদ্রাসা শব্দটি বিলুপ্ত হওয়া উচিত। শিশুদের মাদ্রাসায় ভর্তি করাকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন তিনি।
হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেছিলেন কেউ বলছে না কোরান পড়াবেন না। একজন ছাত্্রের বিজ্ঞান, গণিত, জীববিদ্যা, উদ্ভিদবিদ্যা এবং প্রাণিবিদ্যা শেখানোর ওপরে গুরুত্ব আরোপ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, ২-৩ ঘন্টা ধর্মীয় শিক্ষা দিন। কিন্তু স্কুলে একজন ছাত্রকে যেভাবে পড়ানো উচিত, সে যাতে চিকিৎসক কিংবা ইঞ্জিনিয়ার হতে পারে, সেই ব্যবস্থা করুন।
|
পাল্টা প্রতিক্রিয়া ওয়েইসির
অসমের মুখ্যমন্ত্রী পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে এআইএমআইএম প্রধান বলেছেন, অনেক মাদ্রাসাতেই ইসলাম ছাড়াও বিজ্ঞান, গণিত, সোস্যাল স্টাডিজ পড়ানো হয়। আর সংঙ্ঘীরা যে সময় ব্রিটিশদের এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছিল, সেই সময় অনেক মাদ্রাসা দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের পুরোভাগে ছিল বলে দাবি করেছেন তিনি।
আত্মসম্মান ও সহানুভূতি শেখায়
ওয়েইসি দাবি করেছেন, মাদ্রাসাগুলি শাখাদের থেকে ভিন্ন। সেগুলি আত্মসম্মান ও সহানুভূতি শেখায়। কটাক্ষ করে তিনি বলেছেন নিরক্ষর সংঙ্ঘীরা বিষয়টি বুঝবে না। তিনি প্রশ্ন করেন, হিন্দু সমাজ সংস্কারক রাজা রামমোহন রায় কেন মাদ্রাসায় পড়তেন? অসমের মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য মুসলিমদের প্রতি হীনমন্যতা বলেও মন্তব্য করেছেন ওয়েইসি। তিনি বলেছেন, মুসলিমরা ভারতে সম্ৃদ্ধ করেছে এবং তা অব্যাহত রাখবে।
অসমে মাদ্রাসার অবলুপ্তির কথা ঘোষণা করেছিলেন হিমন্ত
এবার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে অসমের শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা। ২০২০-তে তিনি অসমের সরকারের সাহায্যপ্রাপ্ত সব মাদ্রাসার অবলুপ্তি ঘটিয়ে সেগুলিকে সাধারণ বিদ্যালয়ে রূপান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। শিক্ষায় সংস্কার করতে মাদ্রাসা শিক্ষা প্রাদেশিকরণ আইন ১৯৫৫ এবং অসম মাদ্রাসা শিক্ষা আইন ২০১৮ বাতিল করতে অসম বিধানসভায় আইন পাশ করিয়েছিলেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী তথা বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা।
গুয়াহাটি হাইকোর্টের তরফে ওই আইন এবং তা নিয়ে রাজ্য সরকারের পরবর্তী আদেশকে মান্যতা দিয়েছে।