কুতুব মিনার সংরক্ষিত স্মৃতিসৌধ
এএসআই জানিয়েছে, ১৯১৪ সাল থেকে কুতুব মিনার একটি সংরক্ষিত স্মৃতিসৌধ এবং এর কাঠামো এখন বদলানো সম্ভব নয়। এএসআই বলে, '১৯১৪ সাল থেকে সংরক্ষিত সৌধ হিসেবেই কুতুব মিনারকে রক্ষা করা হয়েছে। এর কোনও অংশের, কাঠামোর পরিবর্তন সম্ভব নয়। সংরক্ষিত এলাকা বলে চিহ্নিত এলাকায় কোনও ভাবেই নতুন করে প্রার্থনার অনুমোদন দেওয়া যায় না।' প্রসঙ্গত, কুতুব মিনার নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধে যখন এএসআই-এর প্রাক্তন-আঞ্চলিক পরিচালক ধরমবীর শর্মা দাবি করেন যে রাজা বিক্রমাদিত্য কুতুব মিনার নির্মাণ করেছিলেন এবং এটা কুতুব আল-দিন আইবাক তৈরি করেননি। এটা তৈরি করা হয়েছিল সূর্যের দিক পরিবর্তন পর্যবেক্ষণের জন্য।
খনন করা শুরু হবে?
সংস্কৃতি মন্ত্রক এএসআইকে খনন কার্যের রিপোর্ট জমা দিতে বলেছিল। মসজিদ থেকে ১৫ মিটার দূরত্বে মিনারের দক্ষিণে খনন কাজ শুরু করা যেতে পারে। সংস্কৃতি মন্ত্রকের সচিব গোবিন্দ মোহন গত ২১ মে সরকারিভাবে কুতুব মিনার পরিদর্শন করার পর এই সিদ্ধান্তে আসেন। অপরদিকে এএসআই জানিয়েছে যে হিন্দু আবেদনকারীদের আবেদন আইনত রক্ষনাবেক্ষণযোগ্য নয়।
ঐতিহাসিক দৃষ্টান্তকে নষ্ট করা যাবে না
এএসআই বলে, 'পুরনো মন্দিরকে ভেঙে কুতুব মিনার চত্ত্বর তৈরি হয়েছে এটা ঐতিহাসিক বিষয়। কুতুব মিনার চত্ত্বর একটি জীবন্ত স্মৃতিস্তম্ভ যা বহু বছর ধরে সুরক্ষিত রয়েছে। এই চত্ত্বরে উপাসনা করার অধিকার কারোর নেই।' আদালতে এএসআই আরও বলে, 'আমরা সংরক্ষিত এলাকার চরিত্র পরিবর্তন করতে পারি না কারণ স্মৃতিস্তম্ভটি সুরক্ষা স্থাপনের সময় পুজোর প্রথা ছিল না।'
কুতুব মিনারে ভারী পুলিশ মোতায়েন
এই মাসের গোড়ার দিকে, মহাকাল মানব সেবা ও অন্যান্য হিন্দু সংগঠনের কর্মীরা কুতুব মিনারের সামনে এসে মঞ্চ করে প্রতিবাদে সামিল হন, তাদের হাতে প্ল্যাকার্ড ছিল এবং তারা স্লোগান দিচ্ছিল। এরপরই ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসাবে চিহ্নিত কুতুব মিনারে ভারী পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়। গত এপ্রিলে কুতুব মিনারের বিষয়ে এমন দাবি করেছিলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মুখপাত্র। বিনোদ বনসল বলেছিলেন, দিল্লির কুতুব মিনার আগে 'বিষ্ণু স্তম্ভ' ছিল। ২৭টি হিন্দু-জৈন মন্দির ভেঙে প্রচুর সম্পদ মেলে। সেটি দিয়েই স্মৃতিস্তম্ভটি তৈরি করা হয়েছিল।