দেশে এমনিতেই সমস্ত প্রান্তে ধর্ম নিয়ে নানা ধরনের সমস্যা চলছে। সবথেকে বেশি সমস্যা হচ্ছে মসজিদ এবং মন্দির নিয়ে। বহু মসজিদের তলায় হিন্দু মন্দিরের নিদর্শন রয়েছে কিংবা দেবদেবী আছে বলে দাবি করছে বিভিন্ন ব্যক্তি। তা নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। সবথেকে বড় বিতর্ক জ্ঞানব্যাপি মসজিদ বিতর্ক। সেখানে শিবলিঙ্গ পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করা হয়। চলছে শুনানি।
তাজমহল নিয়েও দাবি করা হয় এর নীচে রয়েছে শিব। এএসআই অবশ্য ছবি প্রকাশ করে বলেছে যে এসব কিছু নেই। সুপ্রিম কোর্টেও ধমক খায় মামলাকারী। এসবের মাঝে সামনে এল এবার গির্জা নিয়ে এক অদ্ভুত অভিযোগ। যেখানে অভিযোগ করা হয়েছে সেখানে লুকিয়ে উপজাতিদের জোর করে ধর্ম পরিবর্তনের কাজ করা হচ্ছে। এই খবর পাওয়ার পরেই দ্রুত ব্যাবস্থা নেয় প্রশাসন।
ওড়িশার ভদ্রকের একটি গির্জার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ এসেছিল যে তারা ধর্মান্তরিত করছে। এই অভিযোগ পাওয়ার পরেই দ্রুত ব্যাবস্থা নেয় প্রশাসন। সিল করে দেওয়া হয়েছিল ওই চার্চ। বিবরণ অনুযায়ী, নিরীহ আদিবাসীদের খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করার খবর পাওয়া গেছে। আশেপাশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে এলাকায় ১৪৪ ধারাও জারি করা হয়েছে।
ভদ্রকের সাব-কালেক্টরের মতে, ওড়িশার ভদ্রক ব্লকের অন্তর্গত গেল্টুয়া গ্রামে অবস্থিত গির্জা সম্পর্কে প্রাপ্ত অভিযোগের বিষয়ে ম্যাজিস্ট্রেট এবং গ্রামীণ থানার আইআইসি যৌথভাবে একটি তদন্ত করেছিলেন।
ভদ্রকের সাব কালেক্টর মনোজ পাত্র বলেছেন যে ,"উপজাতীদের খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়ার বিষয়ে অভিযোগ ছিল। আমরা জানতে পেরেছি যে সম্প্রদায়ের মধ্যে শান্তি ভঙ্গ হচ্ছিল এই ঘটনার জন্য। জেলা প্রশাসন গেল্টুয়ায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে, চার্চের আশেপাশে সর্বোচ্চ তিনজন জড়ো হওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর বেশি জন এলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে"
এদিকে আদিবাসী সম্প্রদায়ের সদস্য ফুলমণি মুন্ডা বলেছেন যে, "আমরা গতকাল এখানে প্রার্থনা করতে এসেছি। আমরা এখানে লাউডস্পিকার ব্যবহার করিনি বা কখনও কারো অনুভূতিতে আঘাত করিনি। শান্তিপূর্ণভাবে, আমরা এখানে এই চার্চে প্রার্থনা করেছি। আমরা যীশুকে বিশ্বাস করি এবং তার পথ অনুসরণ করেছি। আমরা জানি না, এখানে লোকেরা কেন আমাদের হয়রানি করছে?"
এর আগে যে দেশে এমন ঘটনা ঘটেনি তা নয়। ঝাড়খণ্ডের কিছু অংশে এই কাজ করার খবর ম বিতর্ক সামনে এসেছিল। কিন্তু সেখানে তেমন কোনও ব্যবস্থা নেওয়ার খবর মেলেনি বা কোনও অভিযোগও দায়ের করা হয়নি ফলে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।