টাস্ক ফোর্স থেকে বাদ রাহুল গান্ধী
তিন দিনের চিন্তন শিবিরের পর ধাপে ধাপে সিদ্ধান্ত নিতে শুরু করেছে হাই কমান্ড। ২০২৪-র লোকসভা ভোটের জন্য নতুন টাস্ক ফোর্স গঠন করেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। সেই টাস্ক ফোর্সে নেই রাহুল গান্ধী। তাতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ২০২৪-র লোকসভা ভোটে কংগ্রেসকে জেগে উঠতে হলে গান্ধী মুক্ত নেতৃত্ব হতে হবে। মনই পরামর্শ দিয়েছিলেন প্রশান্ত কিশোর। কংগ্রেসের সেই টাস্ক ফোর্সের সদস্যদের নাম ঘোষণার পরেই জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েেছ। তাহলে কী শেষ পর্যন্ত প্রশান্ত কিশোরের দেখানো পথেই হাঁটছেন সোনিয়া গান্ধী।
প্রশান্তের দুই প্রাক্তন সহযোগিকে ঘিরে জল্পনা
শেষ পর্যন্ত প্রশন্ত কিশোরের সঙ্গ কংগ্রেসের মেলবন্ধন হয়নি। কংগ্রেসে যোগ দেননি প্রশান্ত কিশোর উল্টে নিজের নতুন দস গড়ার বার্তা দিয়েছেন। অন্যদিকে প্রশান্ত কিশোরের দুই প্রাক্তন সহযোগী কিন্তু কংগ্রেসের নতুন টাস্ক ফোর্সে জায়গা করে নিয়েছেন। প্রশান্ত কিশোরের প্রাক্তন সহযোগী সুনীল কোনিগলুকে ২০২৪-র টাস্ক ফোর্সে রেখেছে হাইকমান্ড। তাতে আবার নতুন জল্পনা শুরু হয়েছে। তাহলে কী পরোক্ষে সেই রাশ প্রশান্ত কিশোরের হাতেই থাকল। তবে কংগ্রেসের বিদ্রোহীদের কাউকেই টাস্ক ফোর্সে রাখেননি সোনিয়া।
গুলামনবিদের অন্য দলে
পার্টির পলিটিকাল অ্যাফেয়ার্স গ্রুপে রাখা হয়েছে গুলামনবি আজাদ, মল্লিকার্জুন খাড়গে, আনন্দ শর্মা, দিগ্বিজয় সিং, কসি ভেনুগোপাল, অম্বিকা সোনি, জিতেন্দ্র সিংদের। সেই গ্রুপের নেতৃত্বে রয়েছেন সোনিয়া গান্ধী নিজে। সব প্রবীণদের একটি জায়গায় এনেছেন সোনিয়া। যাতে নবীন প্রবীণ বিরোধ ২০২৪-র লোকসভা ভোটের আগে কংগ্রেসের ভোট ব্যাঙ্কে ধাক্কা না দেয় সেকারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সোনিয়া এমনই মনে করা হচ্ছে। ২০১৯-র লোকসভা ভোটের পর থেকে দলের অন্দরে নবীন প্রবীণের লড়াই প্রবল আকার নিয়েছিল। তার জেরে একের পর এক বিধানসভা নির্বাচনে এক প্রকার ধাক্কা খেয়েছে কংগ্রেস। প্রায় ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে একাধিক রাজ্যে। পাঞ্জাবে ক্ষমতা হারিয়েছে দল।
২০২৪-র টার্গেটে একাধিক কর্মসূচি
২০২৪-কে টার্গেট করেই ছক সাজাচ্ছেন সোনিয়া। উদয়পুরে তিনদিনের চিন্তন শিবিরে সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী সহ কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যরা চুল চেরা বিশ্লেষণ করেছেন দলের হাল ফেরানো নিয়ে। সামনেই রাজস্থানের বিধানসভা নির্বাচন। তাই আরও মেপে মেপে পা ফেলতে চাইছেন সোনিয়া। প্রথম থেকেই রাজস্থানে সচিন পাইলট বনাম অশোক গেহলট দ্বন্দ্ব রয়েছে। সেটা যাতে বিধানসভা নির্বাচনের সময় আরও প্রকট আকার না নেয় সকারণেই আরও ঘর গোছাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী।