এনসিপি নেতার সঙ্গে দাউদের ডি কোম্পানির সরাসরি যোগ পেল ইডি, হত অর্থের লেনদেন

অর্থ পাচারের মামলায় এনসিপি নেতা নবাব মালিকের বিরুদ্ধে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাতে চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে। ইডি-র মতে, মহারাষ্ট্রের মন্ত্রীর গ্যাংস্টার দাউদ ইব্রাহিমের ডি-কোম্পানির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে সম্পর্ক ছিল। এ নিয়ে মুম্বইয়ের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বিশেষ পিএমএলএ আদালতে একটি প্রসিকিউশন চার্জশিট দাখিল করেছে।

প্রসিকিউশনের অভিযোগে বলা হয়েছে যে, ডি-কোম্পানির সঙ্গে মালিকের সরাসরি যোগাযোগ ছিল। ইডি ১৯৯৬ সালে কুর্লা পশ্চিমে গোয়াওয়ালা বিল্ডিং কম্পাউন্ড "দখল" করার ষড়যন্ত্রের কথাও এই প্রসিকিউশনে উল্লেখ করেছে। দাউদ ইব্রাহিমের ভাগ্নে আলিশাহ পারকারকে সোমবার মুম্বইয়ে ইডি কর্মকর্তারা মুম্বই এবং দেশের অন্যান্য অঞ্চলে তাদের সক্রিয় গ্যাং সম্পর্কে তথ্য জানতে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল।

আলিশাহ দাউদের বোন হাসিনা পারকারের ছেলে, যিনি ২০১৪ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।ইডি-র কাছে বিবৃতি দিয়েছেন দাউদের ভাইপো। দাউদ ইব্রাহিমের ভাগ্নে আলিশাহ পারকার মালিকের বিরুদ্ধে পিএমএলএ মামলার তদন্তের সময় পিএমএলএ আইনের ৫০ ধারার অধীনে ইডির কাছে একটি বিবৃতি দিয়েছিলেন। বিবৃতিতে আলিশাহ বলে যে তার মা দীর্ঘদিন ধরে দাউদ ইব্রাহিমের সাথে আর্থিক লেনদেনের সাথে জড়িত ছিলেন।

তিনি সেলিম প্যাটেলের কথাও উল্লেখ করেছিলেন যিনি তাঁর মায়ের অন্যতম সহযোগী ছিলেন। সেলিম প্যাটেল ছিলেন একজন পেঁয়াজ ব্যবসায়ী এবং তার মায়ের সাথে টাকা পয়সা লেনদেন করতেন। আলিশাহ আরও বলেছিলেন যে হাসিনা পারকার এবং সেলিম প্যাটেল গোয়াওয়ালা বিল্ডিংয়ে একটি অফিস খুলে কম্পাউন্ডের কিছু অংশ দখল করেছিলেন।

আলিশাহ পরে যোগ করেছেন যে, পারকার তার নিয়ন্ত্রিত গোয়াওয়ালা বিল্ডিংয়ের একটি অংশ নবাব মালিকের কাছে বিক্রি করে দেন। অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে যে নবাব মালিক তার মা এবং প্যাটেলকে যে অর্থ দিয়েছিলেন সেই সম্পর্কে সে কিছু জানত না।

শুক্রবার একটি বিশেষ আদালত মালিকের বিরুদ্ধে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের চার্জশিটটি নিয়েছে এবং বলেছে যে মালিক সরাসরি এবং জেনেশুনে কুর্লার গোয়াওয়ালা কম্পাউন্ড দখল করার জন্য অন্যদের সাথে অর্থ পাচার এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিল এবং তাদের কাছে এর সমস্ত প্রমাণ রয়েছে।আদালত তার এবং ১৯৯৩ সালের বোমা বিস্ফোরণ মামলায় অভিযুক্ত আসামি সর্দার শাহওয়ালি খানের বিরুদ্ধে একটি বিচার প্রক্রিয়া জারি করেছে।

প্রসঙ্গত নবাব মালিক তার প্রথম নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মাত্র আড়াই হাজাত ভোট পেয়েছিলেন। পরবর্তীতে তিনি সমাজবাদী পার্টিতে যাওয়ার আগে কংগ্রেসে যোগ দেন যেখানে তিনি একটি উপনির্বাচনে জয়লাভ করেন এবং ১৯৯৯ সালে কংগ্রেস এনসিপি জোট সরকারে মন্ত্রীর পদ পান। তবে খুব শীঘ্রই, আবু আজমির সাথে তার মতপার্থক্যের কারণে তিনি এনসিপিতে চলে যান। এনসিপি তাকে ক্যাবিনেট মন্ত্রীর পদ দিয়েছিল।

More DAWOOD IBRAHIM News  

Read more about:
English summary
ncb leader Nawab Malik holds links with Dawood Ibrahim's D-company
Story first published: Tuesday, May 24, 2022, 13:45 [IST]