জলপাইগুড়ি বিজেপিতে ভাঙন
উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলায় বেশ কিছুদিন ধরেই বিজেপির নতুন কমিটি গঠন নিয়ে সমস্যা চলছিল। সম্প্রতি নতুন মণ্ডল কমিটি গঠন করা হয়। সেখানে বাদ পড়েন আদি বিজেপি নেতারা। এর ফলে বিদ্রোহী হয়ে ওঠেন কয়েকজন নেতা। বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতাদের অভিযোগ, কারও সঙ্গে আলোচনা না করেই জেলা নেতৃত্ব নতুন কমিটি তৈরি করেছে।
আদি নেতা-কর্মীরা বাদ পড়ার প্রতিবাদে
বিজেপিতে এই কোন্দলের ফলে জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তোপ দেগে গণ ইস্তফা শুরু হয়ে যায়। বিজেপি থেকে পদত্যাগ করেন ময়নাগুড়ি বিধানসভার দক্ষিণ মণ্ডলের সম্পাদক, জেলা যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক, মণ্ডল যুব সভাপতি, মণ্ডল যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক-সহ মোট ২০ জন নেতা। আদি নেতা-কর্মীরা বাদ পড়ার প্রতিবাদেই তাঁদের পদত্যাগ বলে জানানো হয়।
আগামী দিনে বিজেপি বলে কিছু থাকবে না!
বিজেপির জেলা সভাপতি এই মর্মে বলেন, এখনও পদত্যাগপত্র হাতে পাইনি। তাই এই পদত্যাগ পত্র হাতে না পাওয়া পর্যন্ত কিছু বলতে পারব না। কারা পদত্যাগ করেছে, সে ব্যাপারে আমার কাছে কোনও খবর নেই। আর বিজেপির এই পদত্যাগের হিড়িক নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্য, আগামী দিনে বিজেপি বলে কিছু থাকবে না। তার আভাস এখন থেকেই মিলতে শুরু করেছে।
নতুন কমিটিতে প্রাধান্য নতুনদের, পুরনোরা বঞ্চিত
বিজেপির পদত্যাগী বিক্ষুব্ধ নেতাদের অভিযোগ, নতুন যে কমিটি তৈরি হয়েছে, তাতে অর্থের বিনিময়ে পদ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নতুন কমিটিতে পদ দেওয়া হয়েছে নতুনদের। সংশ্লিষ্টদের দাবি বিগতদিনে যে প্রতিকূলতা তৈরি হয়েছিল তার সঙ্গে লড়াই করেছেন তাঁরা। কিন্তু কাউকে কিছু না জানিয়েছে এই নতুন কমিটি গঠন তাঁরা মানতে পারেননি। এরপর গতরাতে বিক্ষুব্ধরা এক বৈঠকে বসে সিদ্ধান্ত নেন, তাঁরা বিজেপি কোনও পদে থাকবেন না।
বিজেপিতে গোষ্ঠী কোন্দল চরম আকার নিয়েছে
অভিযোগ, যাঁরা পার্টির জন্য প্রাণপাত করেছেন। জেল পর্যন্ত খেটেছেন মিথ্যা মামলায়, তাঁরা আজ বঞ্চিত। দলে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে নতুনদের। এসবের বিরুদ্ধেই তাদের প্রতিবাদ। এই পদত্যাগে স্পষ্ট বিজেপিতে গোষ্ঠী কোন্দল চরম আকার নিয়েছে। যা পঞ্চায়েত ভোটের আগে চরম আকার নিতে পারে। সামনের বছর পঞ্চায়েত নির্বাচন, তার আগে যেভাবে জেলায় জেলায় পদত্যাগের হিড়িক পড়েছে, তাতে বিজেপিতে সিঁদুরে মেঘ দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতে এভাবে দফায় দফায় গণ ইস্তফা দেন বিজেপি নেতারা।