কোন কোন জেলায় বন্যার প্রভাব বেশি?
অসমের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের দৈনিক বন্যা সংক্রান্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, কাছার জেলার শিলচরের এক বাসিন্দা বন্যার জলে ভেসে গিয়ে মারা গিয়েছেন। সোমবার অবধি বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫ জন৷ সর্বমোট ২২টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বারপেতা, কাছার, দারাং, ধুবরি, ডিব্রুগড়, ডিমা হাসাও, গোয়ালপাড়া, গোলাঘাট, হোলিয়াকান্দি, হোজাই, জহরাত, কামরুপ, কামরুপ মেট্রোপলিটন, কার্বি আংলং পশ্চিম, করিমগঞ্জ, লখিমপুর, মাজুলি, মরিগাঁও, নাগাঁও, নলবাড়ি, সন্তিপুর এবং উডালগুরি জেলা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলা নাগাঁও। এই জেলায় প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরপর অবশ্যই রয়েছে কাছার। সেই জেলাতেও ক্ষতিগ্রস্তের সংখ্যা দু'লক্ষ ছাড়িয়েছে৷
উন্নতি হচ্ছে বন্যা পরিস্থিতির!
তবে ধীরে ধীরে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতিও হচ্ছে। শনিবার অবধি ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ছিল ৭ লক্ষ ২০ হাজার মানুষ৷ এই মুহূর্তে ১৭০৯ টি গ্রাম জলের তলায় রয়েছে। অসমজুড়ে ৮২৫০৩ হেক্টর কৃষিজমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উদ্ধারকাজে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে প্রশাসনও। আটটি জেলায় মোট ৬৫৬টি ত্রান শিবিরের আয়োজন করেছে তারা। সেই শিবিরগুলিতে ১৯,৫৫৫ জন শিশু সহ মোট ৯০৫৯৭ জন ব্যক্তি আশ্রয় নিয়েছেন।
বিপর্যয় মোকাবিলায় সেনা!
তবে শুধুই রাজ্য সরকার নয়। সাহায্য এসেছে জাতীয় স্তর থেকেও। ভারতীয় বায়ুসেনা, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, প্যারামিলিটারি, প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত স্বেচ্ছাসেবকরা নেমে পড়েছেন উদ্ধারকাজে। তথ্য বলছে এখনও অবধি প্রশাসনের তরফ থেকে ত্রান বাবদ ৪২৭৮.৪৫ কুইন্টাল চাল, ডাল এবং নুন, ২৫৫৫.৯৭ লিটার সরষের তেল এবং ১২৩২.৪১ কুইন্টাল গবাদিপশুর খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে।