ধাক্কা সামলালেন গিল-ওয়েড
জয়ের জন্য ১৮৯ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই আউট হন ঋদ্ধিমান সাহা। ট্রেন্ট বোল্টের বলে তিনি কট বিহাইন্ড হন। সেখান থেকে দলকে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন শুভমান গিল ও ম্যাথু ওয়েড। ৭.৪ ওভারে গিল রান আউট হন দলের ৭২ রানের মাথায়। পাঁচটি চার ও একটি ছয়ের সাহায্যে শুভমান ২১ বলে ৩৫ রান করেন। ৯.৩ ওভারে ওয়েড আউট হলে গুজরাত টাইটান্সের স্কোর দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ৮৫। ওয়েড ৩০ বলে ৩৫ রান করেন, মেরেছেন ৬টি চার।
হিসেব কষে খেলা
এরপর হার্দিক পাণ্ডিয়া ও ডেভিড মিলার হিসেব কষে ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। পাওয়ারপ্লে-র ৬ ওভারে উঠেছিল ১ উইকেটে ৫৫। ৭ থেকে ১৫ ওভারের মধ্যে ২ উইকেট হারিয়ে ৬৮ রান তোলে গুজরাত টাইটান্স। শেষ ৫ ওভারে জেতার জন্য দরকার ছিল ৫০ রান। শেষ ৩ ওভারে ৩৪ এবং শেষ ২ ওভারে ২৩। ওবেদ ম্যাককয় ১৯তম ওভারে মাত্র ৭ রান দেওয়ায় শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১৬ রান দরকার ছিল গুজরাতের।
|
ছক্কার হ্যাটট্রিকে ফাইনালে
প্রসিদ্ধ কৃষ্ণর শেষ ওভারে ছক্কার হ্যাটট্রিক কিলার মিলারের। তিনি উইনিং শট নিতেই নজির গড়ল গুজরাত টাইটান্স। এবারই লখনউয়ের সঙ্গে তারা আইপিএলের আসরে এসেছে। রাজস্থান রয়্যালস হেরে যাওয়ায় তাদের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার খেলতে হবে। কাল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ও লখনউ সুপার জায়ান্টসের মধ্যে ম্যাচের জয়ী দলের বিরুদ্ধে। তিনটি চার ও পাঁচটি ছয়ের সাহায্যে ৩৮ বলে ৬৮ রানে অপরাজিত রইলেন ডেভিড মিলার। পাঁচটি বাউন্ডারির সাহায্যে ২৭ পবলে ৪০ রানে অপরাজিত থাকেন হার্দিক। জয় এলো তিন বল বাকি থাকতেই। ট্রেন্ট বোল্ট ৪ ওভারে ৩৮ রান দিয়ে এবং ওবেদ ম্যাককয় ৪ ওভারে ৪০ রান দিয়ে একটি করে উইকেট নেন। প্রসিদ্ধ তিন ওভার তিন বলে ৪০ রান খরচ করে কোনও উইকেট পাননি।
রাজস্থানের উজ্জ্বলতম বাটলার
এর আগে, টস হেরে ব্যাট করতে নেমে রাজস্থান রয়্যালস ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৮ রান তুলেছিল। ১২টি চার ও ২টি ছয়ের সাহায্যে ৫৬ বলে ৮৯ রান করে রান আউট হন জস বাটলার। চলতি আইপিএলে তাঁর এদিনই ৭০০ রান হয়ে গেল। সঞ্জু স্যামসন ২৬ বলে ৪৭ ও দেবদত্ত পাড়িক্কল ২০ বলে ২৮ রান করেন। ঋদ্ধি যেমন ইডেনে ব্যাট করতে নেমে খালি হাতেই ফিরলেন, তেমনই বল হাতে একটি উইকেট দখল করলেও ৪ ওভারে ৪৩ রান দেন মহম্মদ শামি। যশ দয়াল, আর সাই কিশোর ও হার্দিক পাণ্ডিয়া একটি করে উইকেট নেন। রাজস্থান রয়্যালস অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন বলছেন, ভাগ্য, টস গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ম্যাচের ফলাফলে। পরে ব্যাট করা সহজ হয়ে গিয়েছিল। কয়েকটি ওভারে অতিরিক্ত রান দিয়ে ফেলাতেই এই পরাজয়। তবে ফাইনালের আশা ছাড়ছেন না সঞ্জু।