সার্ভার রুমের ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন
এসএসসি দুর্নীিত কাণ্ডের তদন্তে ধাপে ধাপে এগোচ্ছে সিবিআই তদন্তকারীরা। এসএসসি দফতরে সিআরপিএফ মোতায়েনে নজির বিহীন নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্টে। তারপরেই সোমবার এসএসসি দফতরের সার্ভাররুমের ইন্টারনেট পরিষেবা বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। সিবিআই আধিকারিকরা গিয়ে সার্ভার রুমের ইন্টারনেট যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।যাতে এসএসসির দফতরের সার্ভার বাইরের কেউ ব্যবহার করতে না পারেন সেকারণেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
কড়া পাহারায় এসএসসি দফতর
কড়া পাহারার মধ্যে রয়েছে এসএসসি দফতর। আদালতের নির্দেশে সিআরপিএফ মোতায়েন রয়েছে দফতরে। সিবিআইয়ের আধিকারীকরা ছাড়া আর কেই ঢুকতে পারবেন না সেখানে। গত ১৮ মে এসএসসি অফিসে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। পরে অবশ্যা কাজের জন্য কয়েকজনকে দেওয়া
ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এসএসসি-র চেয়ারম্যান, স্টেনো, সেক্রেটারি, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি, চেয়ারম্যানের পরামর্শদাতা ছাড়া কেউ ঢুকতে পারবেন না নয়া নির্দেশিকায় জানিয়েছে আদালত।
সিল সার্ভার রুম
তথ্য নষ্ট কর পারে যে কেউ সেকারণে দ্রুত সার্ভার রুমের সেকারণে সেটা সিল করে রাখা হয়েছিল। যাকে বাইরের কউ সার্ভার রুমের কম্পিউটার ব্যবহার করতে না পারেন সেকারণে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সিবিআই। এসএসসি ভবনের ১৪টি কম্পিউটার ও যে ঘরে ৬টি আলমারি রয়েছে সেই ঘর দুটিও সিল করে দিয়েছে সিবিআই। যাতে কেউ তথ্য প্রমাণ নষ্ট করতে না পারে সেকারণে বিশেষ সফটওয়্যারের মাধ্যমে প্রতিটি কম্পিউটারের সব ডিজিট্যাল ইমেজ সংগ্রহ করা হয়েছে।
নাম জড়িয়েছে নেতা মন্ত্রীদের
এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে জেরা করেছে সিবিআই। তিন দফায় জেরা করা হয়েছে তাঁকে। খারিজ করা হয়েছে তার মেয়ের চাকরি। এই মামলায় তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও জেরা করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এফআইআর দায়ের করা হয়েছে একাধিক। এসএসসি দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন উপদেষ্টা থেকে শুরু করে একাধিক আধিকারীকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে।