প্রায় তিন দশকের আন্দোলন শেষে রামমন্দিরের স্বপ্নপূরণ হয়েছে বিজেপির। ২০২০ সালের ৫ অগাস্ট ভূমিপূজনের কাজও সম্পন্ন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দ্রুত গতিতে কাজ চলছে রামলালার মন্দিরের। সূত্রের খবর, আগামী বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই শেষ হবে গর্ভগৃহ নির্মানের কাজ৷
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রাক্তন প্রধান সচিব তথা শ্রীরামমন্দির নির্মান কমিটির চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র এই খবর জানিয়েছেন৷ বেশ ক'টি ধাপে সম্পন্ন হবে রামমন্দির নির্মাণের কাজ। ত্রিতল এই মন্দিরটির কাজ বিনা বিলম্বেই শেষ হবে৷ নৃপেন্দ্র মিশ্র বলেন, 'আমাদের কাজের প্রথম ধাপ শেষ হবে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে। সেই সময় আমরা গর্ভগৃহ নির্মাণ করে শ্রীরামচন্দ্রের মূর্তি প্রতিষ্ঠা করব। তখনই প্রাণ প্রতিষ্ঠাও করা হবে৷ গ্রানাইট পাথরের তৈরি স্তম্ভগুলির নির্মাণও শুরু হয়ে গিয়েছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু হওয়া এই কাজ শেষ হবে অগাস্ট মাসেই। ৫ফুট-২.৫ ফুট-৩ ফুটের মোট ১৭ হাজার পাথর ব্যবহার করা হবে স্তম্ভগুলি বানাতে। অন্ধ্রপ্রদেশ এবং কর্নাটকের শ্রেষ্ঠ পাথরগুলি আনা হচ্ছে এই কাজের জন্য।'
কেদার যাত্রা সাময়িকভাবে স্থগিত! জম্মু ও কাশ্মীর-হিমাচল প্রদেশ-উত্তরাখণ্ডে IMD-র অরেঞ্জ অ্যালার্ট
বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশের মতে, রামমন্দির নির্মাণ বড়সড় ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনেও। নয়ের দশকে যে রামমন্দির আন্দোলন ভোটের রাজনীতিতে বিজেপির হালে পানি এনে দিয়েছিল। সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ তথা রামমন্দির নির্মাণ, গর্ভগৃহে শ্রীরামের প্রতিষ্ঠা অতিরিক্ত মাইলেজ দেবে হিন্দু ভোট পেতে। মন্দির নির্মানের দায়িত্ব পেয়েছে লারসন অ্যান্ড টার্বো। দেশের নামী প্রযুক্তিবিদ, স্থপতিরা দিনরাত এক করছেন রামমন্দির নির্মাণে৷