মে মাসের গরমে সম্প্রতি দেশের বেশিরভাগ স্থানেই তাপমাত্রা হু হু করে বাড়ছিল। বেশিরভাগ স্থানেই তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি পেরিয়ে গিয়েছিল। দেশের রাজধানীতে ৪৯ন ছুঁয়েছিল পারদ। জম্মুতে তাপমাত্রা পৌঁছে গিয়েছিল ৪৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। নিজের চোখকে বিশ্বাস হবে এই অঙ্ক দেখলে, অর্থাৎ দেশ জুড়ে যখন গরমের রেশ চলছে ঠিক উল্টো পথে হাঁটছে কেদারনাথ মন্দির। সেখানে ব্যাপক তুষারপাতঁ হচ্ছে।
আর মানুষ গরমকে সহ্য না করতে পেরে পৌঁছে যাচ্ছেন তুষারদেশে। চরম ঠাণ্ডা তবু মানুষ হার মানছে না। প্রচুর মানুষ দেখতে কেদারনাথের শিব মন্দিরকে সঙ্গে মিলছে তুষারের সঙ্গ, যা চরম আবহাওয়ার পরিস্থিতি হলেও মানুষ তা কার্যত উপভোগ করছেন তা বলা যেতেই পারে।
কেদারনাথ মন্দিরে তীর্থযাত্রীরা যাচ্ছেন শিব দর্শন করতে। হবে পুন্যলাভ। তার সঙ্গে উপরি পাওনা যেন বরফ। এই অঞ্চলে পারদ নেমে গিয়েছিল ব্যাপক হারে এবং পাহাড়গুলি সাদা তুষারে ঢেকে গিয়েছে। তুষারপাতের ফলে স্বাভাবিক কারনেই হাড় কাঁপানো শীত পড়েছে মে মাসের শেষে। সঙ্গে ঠাণ্ডা হাওয়া পরিস্থতিকে বলা যেতে পারে আরও প্রতিকূল করে তুলেছে। এক কথায় সেখানে প্রচণ্ড ঠান্ডা আবহাওয়া বিরাজমান রয়েছে।
জানা গিয়েছে যে রবিবার সন্ধ্যাতেও ব্যাপকহারে তুষারপাত শুরু হয় এবং লোকজনকে ছাতার নিচে আশ্রয় নিতে দেখা যায়। অত তুষারপাতের জেরে আজ সোমবার সকাল থেকে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা পড়েছে সেখানে। কিন্তু তা সত্ত্বেও সোমবার প্রচুর পূণ্যার্থী দর্শনে উপস্থিত হন। বলা যেতে পারে প্রবল শীতে কাবু না হয়ে তাকে কাবু করে পুণ্য অর্জন করতে মানুষ হয়েছেন হাজির হয়েছেন মন্দির চত্বরে।
মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামির উপস্থিতিতে অক্ষয় তৃতীয়া উপলক্ষে ৩ মে ভক্তদের জন্য গঙ্গোত্রী এবং যমুনোত্রী পোর্টাল খোলার মাধ্যমে চারধাম যাত্রা শুরু হয়েছিল। ৬ মে পুনরায় খুলে যায় কেদারনাথের দরজা, বদ্রীনাথের দুয়ার খুলে যায় গত ৮ মে।
মুখ্য সচিব এস এস সান্ধু বলেন যে এইবার চরধাম যাত্রার জন্য তীর্থযাত্রীদের পক্ষে প্রচুর সংখ্যায় আসার যথেষ্ট কারণ রয়েছে, এটা তিনি স্বাভাবিক বলে মনে করছেন , কারণ গত দুই বছর ধরে কেদারনাথ যাত্রা হলেইও তা অত্যন্ত সীমিত পরিমাণ ছিল। সবাইকে যেতে দেওয়া হচ্ছিল না। অনেকেই হতাশ হচ্ছিলেন। এবার সম্পূর্ণ রুপে খুলে গিয়েছে এই মহা ধামের দরজা। তাই মানুষের উৎসাহ ছিল দ্বিগুন, তাই প্রবল শীতকে হারিয়ে মানুষ হাজির হয়েছেন এই বিখ্যাত শিব মন্দির দেখতে।