সরকারের অগ্রাধিকার
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, এবিষয়টি তাঁর সরকারের অগ্রাধিকার। যার লক্ষ্যে সরকার পদক্ষেপও গ্রহণ করেছে। যা খুব তাড়াতাড়ি লাগু করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। নয়াদিল্লির এক বেসরকারি হোটেলে আরএসএস-এর পত্রিকা অর্গানাইজার এবং পঞ্চজন্যের ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠানে এই কথা জানিয়েছে পুস্কর সিং ধামি।
প্রসঙ্গত গত মার্চে ধামি আইনের খসড়া তৈরির জন্য কমিটি তৈরির কথা জানিয়েছিলেন। উত্তরাখণ্ডে দলের দয়ের পরেই তিনি এই ঘোষণা করেন। উত্তরখণ্ডে বিধানসভা নির্বাচনে এই বিষয়টিই ছিল বিজেপির সব থেকে বড় প্রতিশ্রুতি।
দেশের সব মানুষের জন্য একই আইন
অভিন্ন দেওয়ানি বিধি অর্থাৎ ইউসিসি হল দেশের সব মানুষের জন্য বিয়ে, বিবাহ বিচ্ছেদ, দত্তক, উত্তরাধিকারের জন্য একই আইন। বর্তমানে, দেশে পার্সোনাল ল রয়েছে। যেখানে একটি শ্রেণির মানুষের বিশ্বাস এবং ধর্ম অনুযায়ী আইন প্রযোজ্য হয়ে থাকে।
তবে সমালোচকরা বলছেন, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি দেশে ধর্মের মৌলিক অধিকারকে বিপদের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। অন্যদিকে এর সমর্থকরা বলছেন, ইউসিসি ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শকে একীঠভূত ও শক্তিশালী করার একটি পদক্ষেপ। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বহুবিবাহ প্রথার অবসান ধটিয়ে সত্যিকারের অর্থে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করবে বলেই মনে করেন এই অংশের মানুষজন। বিআর আম্বেদকর ইউসিসির কট্টর সমর্থক ছিলেন। কিন্তু ধর্মীয় রক্ষণশীলদের বিরোধিতার মধ্যে পড়ে তাঁকে পিছু হটতে হয়েছিল।
১৯৯৮ সাল থেকে বিজেপির ভোট প্রচারে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি
সারা দেশে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালুর ওকালতি করে আসছে বিজেপি এবং তাদের আদর্শগত পরামর্শদাতা আরএসএস। তবে এবিষয়টি দীর্ঘদিন ধরেই সংঘের অ্যাজেন্ডায় থাকলেও ১৯৯৮ সাল থেকে তা বিজেপির ভোট প্রচারের অংশ হয়েছে।
দেশের সংবিধানেও উল্লেখ
দেশের সংবিধানের ৪৪ নম্বর ধারায় অভিন্ন দেওয়ানি বিধির কথা বলা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, রাষ্ট্র নাগরিকদের জন্য একটি অভিন্ন নাগরিক আইন সুরক্ষিত করার চেষ্টা করবে। যদিও তা সংবিধানের IV অংশে রাজ্যের নির্দেশমূলক নীতির অধীনে রয়েছে। সাধারণভাবে যা নীতি প্রণয়নের সময় রাষ্ট্রের নির্দেশিকা হিসেবে দেখা হয়।