বিস্ফোরক বাটলার
জস বাটলার এবারের আইপিএলে যে বিধ্বংসী মেজাজে ছিলেন তাতে একটা সময় মনে হচ্ছিল কোনও মরশুমে সর্বাধিক রানের যে রেকর্ডটি বিরাট কোহলি ২০১৬ সালে গড়েছিলেন সেটা ভেঙে যেতে পারে। কিন্তু পরের দিকে বাটলার বড় রান না পাওয়ায় বিরাটের রেকর্ডটি অক্ষতই থাকতে চলেছেন। জস বাটলার শেষ পাঁচটি ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি করতে পারেননি, তাঁর রানগুলি যথাক্রমে সাজালে দাঁড়ালে এরকম- ২২, ৩০, ৭, ২ ও ২। এরপরেও ১৪ ম্যাচে ১৪ ইনিংসে তাঁর মোট রান ৬২৯, একবার অপরাজিত ছিলেন। সর্বাধিক স্কোর ১১৬, গড় ৪৮.৩৮, স্ট্রাইক রেট ১৪৬.৯৬। তিনটি করে শতরান ও অর্ধশতরান করেছেন। দ্বিতীয় স্থানে লোকেশ রাহুল (১৪ ম্যাচে ৫৩৭ রান)।
|
আত্মবিশ্বাসের রসদ
ইডেনে নামার আগে নিজের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন কমলা টুপির মালিক বিস্ফোরক ওপেনার। তিনি বলেন, আইপিএলের সামগ্রিক ফর্মের নিরিখে আমি খুশি। তবে শেষ কয়েকটি ম্যাচে রান না পাওয়ায় কিছুটা হতাশ। টুর্নামেন্টের প্রথমার্ধে নিজের সেরা ক্রিকেটটা খেলেছি। প্লে অফের আগে ওই ইনিংসগুলির কথা ভেবেই আত্মবিশ্বাস সঞ্চয় করছি। উল্লেখ্য, মুম্বই ও পুনের পিচগুলি খেলা যত এগিয়েছে ততই মন্থর হয়েছে। তবে ইডেনে খেলা হবে ফ্রেশ উইকেটে। ফলে কালবৈশাখী আসার আশঙ্কা থাকলেও, বাটলার-বৈশাখীও আছড়ে পড়তেই পারে ক্রিকেটের নন্দনকাননে।
|
রিটায়ার্ড আউট কি ইডেনে?
রবিচন্দ্রন অশ্বিন কলকাতায় সমর্থকদের উচ্ছ্বাস দেখে অভিভূত। এবার ব্যাট হাতে ১৮৩ রান করার পাশাপাশি ১১টি উইকেট পেয়েছেন। চমকে দিয়েছিলেন রিটায়ার্ড আউটের সিদ্ধান্ত নিয়ে। ব্যাটিং অর্ডারে উপরে এসে অর্ধশতরান হাঁকিয়েছেন, দলের জয়ে অবদান রেখেছেন। রিটায়ার্ড আউটের সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে অশ্বিন বলেন, কোনও গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে কোন সিদ্ধান্তটি দলকে সুবিধা দিতে পারে সে সম্পর্কে ভালোরকম সচেতন থাকা প্রয়োজন। আমার ধারণা, টি ২০ ক্রিকেটে ভবিষ্যতে রিটায়ার্ড আউট গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে দাঁড়াবে এবং এটা ব্যবহৃতও হবে। অনেক সময় রিটায়ার্ড আউটের পরে নামা কোনও ব্যাটার সাফল্য না পেলে সেই সিদ্ধান্তটি ঝুঁকির বলে মনে হতেই পারে। কিন্তু এটি ঠিকমতো ব্যবৃত হলে কোনও দ্বৈরথে তা আখেরে দলকেই সুবিধা পাইয়ে দিতে পারে।
ওয়ার্নের আশীর্বাদ নিয়ে
১৪ ম্যাচে ২৬ উইকেট নিয়ে সর্বাধিক উইকেটশিকারীদের দৌড়ে শীর্ষে রয়েছেন যুজবেন্দ্র চাহাল। তবে আরসিবিও প্লে অফে পৌঁছানোয় বেগুনি টুপির দৌড়ে চাহালের চেয়ে মাত্র ২ উইকেট পিছনে ওয়ানিন্দু হাসারঙ্গা। দীর্ঘ সময় আরসিবিতে কাটিয়ে এবারই প্রথম রয়্যালসের হয়ে মাঠে নেমে যে ফর্মে রয়েছেন তাতে সন্তুষ্ট চাহাল। তিনি বলেন, এমনিতে প্রথম বছর হলেও মনে হচ্ছে এই দলের হয়ে অনেক বছর খেলছি। মানসিকভাবে অনেকটাই রিল্যাক্স থাকতে পারছি। যাঁরা এটা সুনিশ্চিত করেছেন, যাঁরা অত্যন্ত যত্নশীল তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতেই হয়। দলের সঙ্গে সহজেই একাত্ম হয়ে গিয়েছি। সর্বোপরি শেন ওয়ার্ন এই দলে খেলেছেন। তিনিই প্রথম রয়্যাল। আমার বিশ্বাস, তিনি যেখানেই থাকুন আমাদের খেলা দেখছেন, আমাকে আশীর্বাদ করছেন।
ফুরফুরে স্যামসন
গতবারের ব্যর্থতা ঝেড়ে ফেলে এবার প্লে অফে পৌঁছেছে রাজস্থান। তারাই শেষ চারে থাকা একমাত্র দল যারা একবার অন্তত আইপিএল জিতেছে। অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন বলেন, দলে প্রচুর অভিজ্ঞ ক্রিকেটার রয়েছেন। ফলে আমি ব্যাটার ও অধিনায়ক হিসেবে অনেক কিছু শিখছি। আমি মনে করি, নেতৃত্ব দেওয়ার সময় সকলের পরামর্শ শোনা প্রয়োজন। চাপের সময় তাঁরা যাতে এসে কিছু ভাবনার কথা জানাতে পারেন সেই জায়গাটা নিশ্চিত করার দরকার। আমি এভাবেই অনেক তথ্য, পরামর্শ পাই। দলের একতা ও সকলেরই কিছু অবদান রাখার যে তাগিদ দেখতে পাচ্ছি তাতে অধিনায়কত্ব উপভোগই করছি। প্রত্যেকের কথা আমি শুনে থাকি। তবে এটাও মাথায় রাখি যে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্তটি আমাকেই নিতে হবে। দলের প্রতিটি সিদ্ধান্তের দায়িত্বভারও আমার কাঁধেই।